দশ বছর আগে রোপণ করা ১১০ প্রজাতির কয়েক হাজার চারাগাছ এখন বেশ পরিণত। সড়কের দুই ধারে লাগানো সারি সারি ফুলগাছের সাথে ফল-ফলাদির গাছও দারুণ শোভা পাচ্ছে। সেই সঙ্গে নান্দনিকতার ছোঁয়ায় গড়ে তোলা অবকাঠামোগুলো নিয়ে তৈরি হয়েছে বিনোদন পার্ক। মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাপাহাড় গ্রামে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং রেললাইনের মাঝামাঝি স্থানে গড়ে উঠা পার্কটির নাম ‘আরশি নগর ফিউচার পার্ক’।
সমতল, আর উঁচুনিচু পাহাড়বেষ্টিত নতুনভাবে গড়ে উঠা ফিউচার পার্কটি উদ্বোধন হয়েছে গত ১ বৈশাখ। পার্কের অভ্যন্তরে গড়ে তোলা হয়েছে শিশুদের জন্য আলাদা জোন। খেলনা, আর শিশুদের উপযোগী নানা খেলনায় ঠাসা ওই জোনটি। ১২ একর জায়গায় গড়ে তোলা পার্কের ভেতরেই রয়েছে ৭ টি কটেজ। আর পাশেই আছে কনভেনশন সেন্টার, রেস্টুরেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের দোকান। প্রকৃতিপ্রেমীদের পাশাপাশি শিশুদের আনন্দ বিনোদনের আস্থার স্থান করে নিয়েছে পার্কটি। রমজানের ঈদের আগে পার্কটিতে যোগ হচ্ছে আরো বেশ কিছু রাইড। এটিকে উত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র পরিপূর্ণ বিনোদন পার্ক বললে এতটুকুও বাড়িয়ে বলা হবে না।
প্রায় ১ যুগ আগে ভ্রমণ পিয়াসীদের চিত্তবিনোদনের বিষয়টি মাথায় নিয়ে নাছির উদ্দিন দিদার পার্কটির কাজ শুরু করেন। গাছের চারা রোপণ, কটেজ নির্মানের পাশাপাশি পার্কের অভ্যন্তরে গড়ে তুলতে থাকেন নানা স্থাপনা। তখন কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি মিরসরাইতে এভাবে গড়ে উঠছে একটি পরিকল্পিত নান্দনিক পার্ক।
পার্কটির উদ্যোক্তা নাছির উদ্দিন দিদার বলেন, আমার মেয়ে আরশি’র নামে নামকরণ করা হয়েছে পার্কটির। মিরসরাই সহ দেশের প্রকৃতিপ্রেমীদের বিনোদনের বিষয়টি চিন্তায় নিয়েই মূলত এটি করা। নামমাত্র মূল্যে পর্যটকরা এখানে ভ্রমণের সুযোগ পাবে। শিশুদের বিনোদনের বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সেজন্য দেশের বড় বড় বিনোদন কেন্দ্রগুলোর রাইডের মতোই রাইড সংযোজিত হবে।
পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, প্রবেশ মুখেই রয়েছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড। যেখানে শিশুরা নিজেদের মতো ছুটোছুটি করছে খেলার উপকরণ নিয়ে। পার্কের অভ্যন্তরের রাস্তার কতটুকু পেরুলেই দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের সারি। পাশেই রয়েছে নান্দনিক কটেজ। যেখানে পরিবার-পরিজন নিয়ে রয়েছে রাতযাপনের সুযোগ।
পার্কের অভ্যন্তরে সুপরিসর জায়গায় আয়োজন করা যাবে পিকনিক সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় নিয়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী।
পার্কে ঘুরতে আসা আসিফ হোসেন জানান, শিশুদের উপযোগী পার্ক উত্তর চট্টগ্রামে নেই বললেই চলে। আরশীনগর পার্কটিতে শিশুদের বিনোদনের বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পার্কটিকে আরো নান্দনিক করে তুলেছে।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য এই পার্কটি খুবই উপযোগী। আরো রাইড সংযোজিত হলে পূর্ণতা পাবে আরশীনগর ফিউচার পার্ক।
আপনার মতামত লিখুন :