রাজশাহী: বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইনের ২০১০-১১ শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার ভৌমিকের একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে চীনে। সোমবার(২৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটায় চীনের নাঞ্জিং ইউনিভার্সিটি অব দি আর্টস-এ ডিজাইন অনুষদের প্রদর্শনী গ্যালারীতে শিল্পী সুব্রত কুমার ভৌমিকের 'অস্তিত্বের পুনর্গঠন' নামে এই শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাঞ্জিং ইউনিভার্সিটি অব দি আর্টস এর প্রেসিডেন্ট 'লিউ ওয়েই দং', ডিজাইন অনুষদের ডীন 'চউ ছিং', আন্তর্জাতিক শিক্ষা অনুষদের ডীন 'অয়াং শি' অধ্যাপক 'হ ফাং' এবং বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক মন্ডলীসহ কানাডা, রাশিয়া, চীন, মালায়শিয়া, নাইজেরিয়া, ঘানা, ভারত, বুলগেরিয়া, তুরকিস্থান, জাম্বিয়া, দক্ষিন কোরিয়া এবং অন্যান্য দেশসহ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে জাম্বিয়ান শিক্ষার্থী ডেভিসন এর ভায়োলিন বাজানোর মধ্যদিয়ে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হয়। প্রদর্শনীটি আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। দর্শকদের জন্য প্রদর্শনী গ্যালারীটি প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
সুব্রত কুমার ভৌমিক ২০১৮ সালে চীন সরকার কর্তৃক শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য চীনে যান। পরে ২০১৮ সাল থেকে চীনের নাঞ্জিং ইউনিভার্সিটি অব দি আর্টস-এ অধ্যায়ন করে আসছেন। জানতে চাইলে সুব্রত কুমার ভৌমিক বলেন, বর্তমান সময়ের মহামারীর জন্য মূলত মানব সভ্যতা নিজেরাই দায়ী। নিজেদের ক্ষণস্থায়ী সুখের আশায় আমরা প্রকৃতি এবং প্রাণীকুলকে প্রভাবিত করেছি। যার ফলে আমাদের করোনার মত মহামারীর সম্মুখীন হতে হয়েছে। আমার শিল্পকর্মগুলিকে আমি ৩ টি পর্যায়ে ভাগ করেছি। প্রথম পর্যায়ে দেখিয়েছি মানব সভ্যতা বিভিন্নভাবে প্রকৃতিকে প্রভাবিত করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, করোনার ফলে মানুষের মানসিক দুরাবস্থা, এবং তৃতীয় পর্যায়ে, ভবিষ্যতে এই মহামারীগুলি থেকে মুক্তির জন্য প্রকৃতিকে রক্ষা করা, এবং একে অপরের সহযোগিতার মাধ্যমে নতুনভাবে জীবনের সূচনা করা বা আমাদের অস্তিত্বের পুনর্গঠন করা।
তিনি আরও বলেন, শিল্পকর্মগুলো তৈরিতে ৩ ধরনের শৈলী অনুসরণ করা হয়েছে। প্রদর্শনীটিতে সর্বমোট ৩০ টি শিল্পকর্ম (ইলাস্ট্রেশন) প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। শিল্পকর্মগুলির মাধ্যমে আমি সবাইকে আগামী মহামারী সম্পর্কে সচেতন করেছি এবং এর থেকে মুক্তির জন্য প্রকৃতিকে রক্ষার পরামর্শ দিয়েছি। আমি আশাকরি আমার শিল্পকর্মগুলি দর্শকদের প্রভাবিত করতে পারবে। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মানবজাতি প্রকৃতির সাথে এক বন্ধন তৈরি করবে, পশুপাখি, গাছপালা রক্ষার মাধ্যমে মানবজাতি নতুন এক পৃথিবী নির্মাণ করবে যেখানে প্রকৃতি এবং মানবজাতি উভয়ের জন্যই থাকবে নিরাপদ আশ্রয়স্থল।
আপনার মতামত লিখুন :