তুষার প্রধান দেশের মানুষ এস্কিমোদের বাসস্থান হিসেবে পরিচিত ইগলু। বরফ কেটে তৈরি করা ঘরগুলোকেই ইগলু বলা হয়। এটি দেখতে অনেকটা গম্বুজের মতো।ইগলু তৈরির সময় ভেতর থেকে তৈরি করা হয়। প্রথমে এর দরজা থাকে না, তবে ইগলু তৈরি করা শেষ হয়ে গেলে নির্মাণকারীরা নিচের দিকে একটি দরজা কেটে বের হয়ে আসেন। যা পরবর্তীতে ভেতরে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হয়।ইগলুতে বসবাসকারী এস্কিমোদের নিয়ে সবারই কৌতূহল থাকে। সেই কৌতূহল মেটাতে চাইলে কাশ্মীরে গিয়ে কম খরচে ইগলু রেস্টুরেন্টে খেতে পারবেন।কাশ্মীরের গুলমার্গে তৈরি করা হয়েছে ভারতের প্রথম ইগলু রেস্তোরাঁ। গুলমার্গের কোলহাই রিসোর্টের অধীনে আছে রেস্তোরাঁটি। যা এশিয়ার সব ইগলু রেস্তোরাঁর মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়। এর পুরোটাই বরফ দিয়ে তৈরি। রেস্তোরাঁর যাবতীয় সুবিধাই ইগলু রেস্তোরাঁয় পাবেন।এ রেস্তোরাঁয় প্রবেশের পর মেন্যু কার্ড দেখে খাবার পছন্দ করবেন। এরপর সেই খাবার আপনার টেবিলে পরিবেশন করবে ওয়েটাররা। বিদেশে অনেক আগে থেকেই ইগলু রেস্তোরাঁর প্রচলন আছে। বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডে আছে বহুল প্রচলিত ইগলু ক্যাফে।ভেতরে চেয়ার, টেবিল সবই বরফ দিয়ে তৈরি। বাতাস চলাচলের জন্য দেয়ালে বরফ কেটে ছোট ছোট জানালা বানানো হয়েছে। রেস্তোরাঁর মধ্যে মোট ৪টি টেবিল আছে। যাতে ১৬ জনের বসার ব্যবস্থা করা সম্ভব।রেস্তোরাঁটি ভেতর থেকে চওড়ায় ২২ ফুট এবং উচ্চতা সাড়ে ১২ ফুট। বাইরে থেকে এর উচ্চতা ১৫ ফুট এবং চওড়া ২৬ ফুট। বরফের চেয়ারের উপর ভেড়ার মোটা চামড়া বিছিয়ে দেওয়া আছে। তার উপরই পর্যটকরা বসেন।অনেকেই ভাবতে পারেন, বরফের ঘর নিশ্চয়ই অনেক ঠান্ডা হবে! অবশ্যই না। কারণ বরফ তাপ প্রতিরোধের কাজ করে। তাই বাইরের ঠান্ডা বাতাস বরফের ঘরে ঢুকতে পারে না। বাইরের থেকে ভেতরটা অনেক বেশি গরম।
আপনার মতামত লিখুন :