কাজের অবসরে ঘুরতে সবারই ভালো লাগে। ইচ্ছে হলেই দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ছুটে যাওয়া যায়। তবে দেশের বাইরে যাওয়া হয় না তেমন। লম্বা ছুটি, খরচ, ভিসা- সব মিলিয়ে নানা কারণে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বিদেশ ভ্রমণ করা হয়ে ওঠে না। তবে বর্তমানে বিভিন্ন ট্রাভেল কোম্পানির মাধ্যমে সহজেই ঘুরে আসা যায়। এশিয়ার ৫টি দেশে কম খরচে ভ্রমণ করা যায়।
থাইল্যান্ড: অপূর্ব সমুদ্রসৈকত এবং দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণস্পট দেশটি। যেখানে প্রতিবছর ৩-৪ কোটি মানুষ ভ্রমণ করতে যায়। দেশটি মূলত কম খরচে ভ্রমণের জন্য বিখ্যাত। ব্যাংকক ও পাতায়ার মত জনপ্রিয় স্পটে ২০০০-২৫০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের হোটেল পাওয়া যায়।
মালয়েশিয়া: ভ্রমণে জনপ্রিয়তার দিক থেকে মালয়েশিয়াও পিছিয়ে নেই। গত কয়েক বছরে রেকর্ড সংখ্যক ট্যুরিস্ট বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছে। মালয়েশিয়ার স্পটগুলোর মধ্যে পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার, টিওম্যান, ল্যাংকাউয়ি, পেনং উল্লেখযোগ্য। দেশটিতে মাঝারি মানের হোটেলে থাকতে রাতপ্রতি খরচ হবে ৩৫০০-৪০০০ টাকা।
ইন্দোনেশিয়া: কম খরচে ভ্রমণের আরেকটি জনপ্রিয় দেশ ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় স্থান হচ্ছে- কিন্তামানি ভিলেজ, উলুন দানু ট্যাম্পল, তানাহ লট, মাঙ্কি ফরেস্ট ও বালি দ্বীপ। দেশটিতে ভ্রমণের জন্য ভিসা নিয়ে চিন্তা নেই। রিটার্ন টিকিট থাকলে বিমানবন্দর থেকেই পাবেন অনঅ্যারাইভাল ভিসা। ইন্দোনেশিয়ায় রাতপ্রতি হোটেলে খরচ হবে ২৫০০-৩০০০ টাকা।
ফিলিপাইন: দেশটি এশিয়ার মধ্যে অন্যতম ভ্রমণস্পট। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় রাতপ্রতি হোটেলের জন্য খরচ হবে বাংলাদেশি ২০০০-২৫০০ টাকা। ডর্ম কিংবা হোস্টেলে থাকতে পারবেন আরও কমে। খাবার খরচও খুব বেশি নয়। ভ্রমণের জন্য ম্যানিলা আর বোরোক্যা খুব জনপ্রিয়।
ভিয়েতনাম: কম খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন এশিয়ার আরেকটি দেশ ভিয়েতনামে। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ট্যুরিস্ট দেশটি ভ্রমণ করে। ভিয়েতনামের জনপ্রিয় স্পটের মধ্যে ডা ন্যাং, মার্বেল মাউন্টেইন ও হোই অ্যান উল্লেখযোগ্য। এখানে থাকা-খাওয়ার খরচ বেশ কম। দেশটিতে ভ্রমণে গেলে তালিকায় রাখবেন ‘ফু কুয়োক’ সমুদ্রসৈকতের নাম।
আপনার মতামত লিখুন :