• ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস আজ


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস আজ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস আজ ৬ এপ্রিল। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো এবারও দিবসটি উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এই দিবস উপলক্ষ্যে তারুণ্যের শক্তি ধারণ করে আজ রবিবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, ক্রীড়া ফেডারেশন, এ্যাসোসিয়েশন, বোর্ড, ক্রীড়া সংগঠকসহ ক্রীড়াঙ্গনের সর্বস্তরে বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ক্রীড়া দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
 

ক্রীড়া দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে র‌্যালি ও আলোচনা সভা। রবিবার সকাল ৮.৪৫ মিনিটে র‌্যালিটি ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তন হতে শুরু হয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ের প্রধান গেটের সামনে থেকে ঘুরে জিরো পয়েন্ট হয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ হবে।

র‌্যালি শেষে সকাল ১০টায় জাতীয় স্টেডিয়ামে সুবিধাবঞ্চিত অনূর্ধ্ব-১৭ শিশুদের ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণ এই দুই ভাগে ভাগ করে টুর্নামেন্ট আয়োজিত হবে।উদ্বোধনী ও ফাইনাল খেলা জাতীয় ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। বাকী খেলাগুলো মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

 

১১টায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অডিটোরিয়ামে প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর রয়েছে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। এছাড়াও প্রত্যেক বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় ক্রীড়া সংস্থা দিবসটি উদযাপনের জন্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করা হবে।আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের ক্রীড়া দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তারুণ্যের অংশগ্রহণ, খেলাধুলার মানোন্নয়ন’।

খেলাধুলা শিশু ও তরুণদের মেধা ও মনন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এর মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্বজ্ঞান ও কর্তব্যপরায়ণতার সৃষ্টি হয়। দেশ বদলের প্রত্যয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশের এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে পুনর্জীবিত করতে দেশব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উদযাপন করেছে। 

সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত মূল্যবোধের মেলবন্ধনে আয়োজিত এই উৎসবে তরুণরা দেশ পুর্নগঠনে তাদের সৃজনশীলতা, মেধা, যোগ্যতা ও মননশীলতার স্বাক্ষর রেখেছে।

সময়ের পরিক্রমায় দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। পাশাপাশি ক্রীড়া অবকাঠামোর বুনিয়াদ শক্ত হয়েছে। রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্রীড়ার ব্যাপ্তি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের সকল উপজেলায় ইতোমধ্যে ১২৫টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে। আরও ২০১টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণের পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

পাশাপাশি ৪টি বিভাগীয় স্টেডিয়াম, ৬৪টি জেলায় ৬৮টি জেলা স্টেডিয়ামসহ দেশব্যাপী ১৮টি সুইমিংপুল, ১০টি কিট ইনডোর স্টেডিয়াম, ৭টি ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সকল কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

'''উন্নয়ন ও শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস''' (আইডিএসডিপি) হলো সামাজিক পরিবর্তন আনতে ও বিকাশ ঘটাতে শান্তি ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে খেলাধুলার ক্ষমতার বার্ষিক উদ্‌যাপন। ২০১৩ সালের ২৩ আগস্ট জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রস্তাবে সায় দিয়ে ৬ এপ্রিলকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণা অনুসারে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ব জুড়ে জাতিসংঘ স্বীকৃত অন্যান্য দিবসের মতো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উদযাপিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ১৮৯৬ সালের এই তারিখে গ্রীসের অ্যাথেন্সে আধুনিক যুগের প্রথম অলিম্পিক গেমের উদ্বোধনের স্মরণে এ তারিখ ঠিক করা হয়।


Side banner
Link copied!