
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যুুগে নিজের প্রিয় পজিশনে ব্যাটিং করতে চাওয়া ক্রিকেটারদের জন্য এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। জাতীয় দলে পারলেও লিগগুলোয় একই পজিশনে অনেক ব্যাটারকে নেওয়া হয় বলেই তা সব সময় সম্ভব হয় না। তাই পজিশনের বাইরেও খেলতে হয় ব্যাটারদের।
এতে অনেকেই সুবিধা করতে পারে না।তবে এই জায়গা ব্যতিক্রম জস বাটলার। বিভিন্ন পজিশনে খেলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে খেলে গুরুত্বপূর্ণ অবদানই রাখছেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ইনিংস উদ্বোধন করার সুযোগ দেওয়ায় তাই মাহেলা জয়াবর্ধনের কাছে ঋণী তিনি।সম্প্রতি ভারতীয় পত্রিকা দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন বাটলার। তিনি বলেছেন, ‘সব পজিশনে ব্যাটিং করাটা সত্যি দারুণ উপভোগ করছি। ক্যারিয়ারের শুরুতে মিডল অর্ডার বা ফিনিশিংয়ে ব্যাটিং করতাম। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমাকে ওপেন করার সুযোগ দিয়েছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে।তাই তামার কাছে অনেক ঋণী। কিভাবে পাওয়ার প্লে খেলতে হয় তা শিখেছিলাম। যখন পাওয়ার প্লেতে খেলাটা জানলাম তখন মনে হয়েছে যেকোনো পজিশনে খেলতে আমি অভ্যস্ত। তাই দুই স্টাইলে খেলার দক্ষতা আমার জন্য দারুণ। আর অবশ্যই আপনি যদি পাওয়ার প্লেতে খেলার সুযোগ পান তাহলে ভয়-ডরহীন খেলে ম্যাচে ইমপ্যাক্ট রাখতে পারবেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে শুরুতে ফিনিশিংয়ের ভূমিকা পালন করতে হতো বাটলার। তবে ২০১৬ সালে আইপিএলে সুযোগ পেয়েই তার পজিশন বদলে যায়। ২০১৭ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কোচ জয়াবর্ধনে তাকে ওপেন করার সুযোগ দেয়। সেই টুর্নামেন্টে ১০ ম্যাচে ২৭২ করে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও পরের বছর রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দিয়ে ধামাক্কা ব্যাটিং করেছেন।
এবার গুজরাট টাইটানসের হয়ে অবশ্য ব্যাটিং পজিশন বদলে গেছে বাটলারের। এখন তিন নম্বরে ব্যাটিং করছেন তিনি। তাতে সফলও ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটার। ৮ ম্যাচে ৭১.২০ গড়ে ৩৫৬ রান করেছেন তিনি। নতুন পজিশন নিয়ে বাটলার বলেছেন, ‘তিন নম্বরে ব্যাটিং করাটা আমার জন্য নতুন। সর্বশেষ কয়েক মাস এই পজিশনে অবশ্য খেলেছিলাম। তবে চেষ্টা করছি আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে। আর প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে রান বাড়াতে। এ পজিশনে দেখা যাবে আমাকে প্রথম ওভারেও নামতে হতে পারে এবং পাওয়ার প্লে শেষেও। যাই হোক না কেন আমি শুধু অপেক্ষায় থাকিই যখনই সুযোগ আসে প্রয়োজন অনুযায়ী রিয়্যাক্ট করি।’
আপনার মতামত লিখুন :