
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উপপ্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজাহানকে নিয়ে উঠেছে একাধিক গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ। সূত্রমতে, তিনি অব্যাহতভাবে ঘুষ আদায়ের মাধ্যমে এক বিশাল অর্থের পাহাড় গড়েছেন এবং নিজেকে শত কোটি টাকার মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার এই দুর্নীতির কারণে সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত ১০টি আঞ্চলিক অফিসের কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় আছেন এবং তাদের কাজের পরিবেশ একেবারেই অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে। দুর্নীতিবাজ শাহজাহান ডিএসসিসির সহকারী সচিব থাকা কালে এক মহিলাকে ডিএসসিসিতে চাকরী দিয়ে সবুজবাগ থানা এলাকায় ফ্ল্যাট কিনে দিয়ে রক্ষিতা হিসেবে রাখায় ও দুর্নীতির অভিযোগে তিনি সাসপেন্ডে ছিলেন।
ধুরন্দর এ কর্মকর্তা পরে তদবির করে পুনরায় রাজস্ব বিভাগে পোস্টিং নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন দুর্নীতি।
তথ্য অনুযায়ী, শাহজাহান তার পোষা দালালদের মাধ্যমে প্রতিদিন নিয়মিতভাবে ঘুষ আদায় করে থাকেন। তিনি দোকান বরাদ্দ, নামজারি, হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, নানা ধরনের দুর্নীতি এবং ইন্সপেক্টরদের কাছ থেকে উৎকোচ সংগ্রহের মাধ্যমে করপোরেশনের রাজস্ব খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করছেন। এমনকি, ২শ বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে সরকারী খাতায় নামমাত্র টাকা দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছেন। এর ফলে, ডিএসসিসির রাজস্ব খাতে বিপুল ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে।
শাহজাহান তার পদাধিকার ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৪টি ফ্ল্যাট, ১টি বাড়ি এবং ২টি বিলাসবহুল গাড়ি অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি যশোরের ঝিকরগাছা এবং খুলনা এলাকায় একাধিক জমি ও সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। অতীতে দুর্নীতির অভিযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালালেও, তিনি সেসব অভিযোগ সুষ্ঠুভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হন।
শাহজাহানের অনিয়ম ও দুর্নীতির কর্মকাণ্ডে নতুন নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে, যা তার ঘুষ-ব্যবসার নানা অজানা দিক উন্মোচন করবে।
ডিএসসিসির রাজস্ব খাতে স্বচ্ছতা এবং শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য শাহজাহানকে অপসারণ করে একটি স্বচ্ছ তদন্ত চালানো জরুরি। সিটি করপোরেশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সুশাসনের আওতায় আনার মাধ্যমে দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :