
রাজধানীর শাহবাগে অনুষ্ঠিত ‘শহীদি সমাবেশে’ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে উত্তাল হয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা এবং জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এ সমাবেশে বক্তারা দলটির বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য প্রদান করেন এবং চার দফা দাবি উত্থাপন করেন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, “আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এবং পরবর্তীতে বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দলটিকে চূড়ান্তভাবে রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সরাতে হবে।”
জুলাই অভ্যুত্থানে চোখ হারানো এক ব্যক্তি বলেন, “আমি চোখহারা জুলাই যোদ্ধা। এই দেশে আওয়ামী লীগের কোনো পুনর্বাসন হতে পারে না। যারা তা চায়, তাদের এ দেশে জায়গা হবে না।”
শহীদ সাইমের মা তার সন্তানের মৃত্যুর জন্য সরাসরি আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, “আমার ছেলে কী অপরাধ করেছিল, যে ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারাতে হলো? আমি চাই, আওয়ামী লীগ যেন আর কখনো এ দেশে রাজনীতি করতে না পারে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা এ বি জোবায়ের বলেন, “জুলাই এখনও শেষ হয়নি। আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। কেউ কেউ টাকা কামিয়েছে, আর আমরা আজও লড়াই করছি। আমাদের আশা কেউ বিক্রি করতে পারবে না।”
ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি শেখ মাহবুবুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের আগে আমাদের গলায় ফাঁসির দড়ি পড়বে। আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি যেখানে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হবে।”
সমাবেশ থেকে উত্থাপিত চার দফা দাবি:
১. আগামী ১০০ দিনের মধ্যে জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করতে হবে এবং আওয়ামী লীগকে নির্বাহী আদেশ, আদালতের রায় ও রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
২. শাপলা চত্বরের ঘটনার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে জাতিসংঘের সহায়তায় তদন্ত কমিশন গঠন করে শহীদদের তালিকা প্রকাশ ও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
৩. পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে গঠিত কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করে সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. দেশের সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচারের বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, পুসাবের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জাকারিয়া, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আব্দুল ওয়াহেদসহ শহীদ পরিবারের একাধিক সদস্য সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
ইনকিলাব মঞ্চ সূত্রে জানা গেছে, দাবিগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তারা আগামী ১০০ দিনে দেশের ৬৪ জেলায় গণসংযোগ চালাবে। দাবি পূরণ না হলে আগামী ৫ আগস্ট (যা তারা '৩৬ জুলাই' হিসেবে উল্লেখ করেন) ‘মার্চ ফর বাংলাদেশ’ কর্মসূচির মাধ্যমে শাহবাগ থেকে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।
আপনি চাইলে এই লেখাটি আরও নিরপেক্ষভাবে, মতামতধর্মী বা সাংবাদিক কাঠামোয় পুনর্লিখিত করতে পারি। বলুন শুধু, কী ধরনের ব্যবহার বা প্ল্যাটফর্মের জন্য লেখাটি দরকার? (সংবাদপত্র, ব্লগ, প্রতিবাদপত্র, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইত্যাদি)।
আপনার মতামত লিখুন :