
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বক্তব্য প্রকাশ করেন। বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নজরে এলে সংগঠনটি এ বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ভিডিওতে ব্যারিস্টার সারোয়ার দাবি করেন, বাগেরহাটের এসপি ১০ কোটি টাকার বেশি দুর্নীতিতে জড়িত। তিনি বিভিন্ন খাতভিত্তিক দুর্নীতির হিসাব তুলে ধরেন এবং দাবি করেন যে পুলিশ বাহিনীর শীর্ষ পর্যায় থেকেও এসব বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানায়, কোনো পুলিশ কর্মকর্তা অপরাধে জড়িত থাকলে যথাযথ অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও এমন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই গণমাধ্যমে এমন বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মানহানির শামিল। একজন আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেনের কাছ থেকে এমন বক্তব্য প্রত্যাশিত নয়।এতে পুলিশ বাহিনীর মনোবল ক্ষুণ্ন হয় এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ এবং সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। তারা বলেন, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও দেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :