• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

রিজার্ভ চুরি তদন্তে সীমাহীন গাফিলতি হয়েছে: আইন উপদেষ্টা


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
রিজার্ভ চুরি তদন্তে সীমাহীন গাফিলতি হয়েছে: আইন উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ব্যাংকের আলোচিত রিজার্ভ চুরির ঘটনা তদন্তে তৎকালীন সরকারের সময়ে সীমাহীন গাফিলতি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি এখন এই রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। কমিটি এ ঘটনায় কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ কথাগুলো বলেন। এর আগে আজ পর্যালোচনা কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রথম বৈঠকে বসে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় গত মাসে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে প্রধান করে ছয় সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি করে সরকার। পর্যালোচনা কমিটির সদস্যরা হলেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক ও রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল হুদা।

এই কমিটির কাজের পরিধি হিসেবে রয়েছে, কমিটি ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্তকাজের অগ্রগতি ও এ-সংক্রান্ত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপের পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে। তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে তাদের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। পরে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয়। কিন্তু এখনো ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার ৩৯ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার চুরি বা লুট করার পরিকল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত পেরেছে ৮৮ মিলিয়ন ডলার। তার মধ্যে ৬৬ মিলিয়ন ডলার এখনো উদ্ধার করা যায়নি। বাকি টাকা উদ্ধার হয়েছে। পর্যালোচনা কমিটির প্রধান হিসেবে তাঁর কাছে মনে হয়েছে, এটি আসলে পুরো বাংলাদেশ লুট করার একটি পরিকল্পনা ছিল। দুই বিলিয়ন ডলার যদি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে চলে যেত আজকে দুর্ভিক্ষ বা প্রায় দুর্ভিক্ষ অবস্থায় পড়তে হতো।

গাফিলতির প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সিআইডিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের যাঁরা জড়িত আছেন, তাঁদের নাম অভিযোগপত্রে না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনকে ভালো উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, সেই প্রতিবেদনের পর্যালোচনাও শুনেছেন। কমিটি নির্ধারিত তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেন বলে আশা করেন আইন উপদেষ্টা।


Side banner
Link copied!