বিডিআর হত্যা মামলার বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রহসন চলছে বলে জানিয়েছেন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত সদস্য ও ভুক্তভোগী পরিবার। তাই সব কারাবন্দির মুক্তি ও মিথ্যা মামলা বাতিলেরও দাবি তুলেছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তোলেন তারা।
বক্তারা বলেন, কেরানীগঞ্জে কোর্ট বসার কথা ছিল, পরে শুনেছি আলিয়া মাদরাসার মাঠে বসবে।
কিন্তু আজকে এখন পর্যন্ত কোথাও কোর্ট বসেনি। আইনজীবীদেরও কিছু জানানো হয়নি। যাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তারা। বিডিআর হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দেশবিরোধী একটি চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা।
কারাবন্দিদের মুক্তিসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তাদের।
এদিকে আজ ঢাকা আলিয়া মাদরাসার মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচারকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঠটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সকাল থেকে বকশীবাজার এলাকার সরকারি আলিয়া মাদরাসা ও আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভও করেন তারা।
সড়ক অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মাদরাসার মাঠটি তিন মাসের জন্য নেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পরও মাঠটি ফিরিয়ে না দেওয়া এবং গতকাল রাতে কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে মাদরাসার মাঠের গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দেন, এর পর থেকে প্রতিষ্ঠানের সামনে এবং সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সকাল ১১টার দিকে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জজ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন। পরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর শুধু জজকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। অবশেষে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচারকাজ সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন বিচারক।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
আপনার মতামত লিখুন :