
অনলাইন জুয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফরমের প্রচার-প্রচারণা বন্ধের স্থায়ী সমাধান বের করতে সাত সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানের প্রতি এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কমিটি গঠনের ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে। এ সংক্রান্ত এক রিটে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহিন এম রহমান। আদেশের বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘যে সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছিল রিটে, তাঁদের প্রত্যেকের দপ্তরের একজন করে মোট সাতজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটি গঠনের পর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।’
গণমাধ্যমের অনলাইন প্ল্যাটফরম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৬ এপ্রিল রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম রাফিদ।অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে তিনি এই রিটটি করেন।
রিটে বলা হয়, অনলাইন জুয়ার বিস্তার রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা সংবিধান পরিপন্থী, প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৮৬৭ এবং ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-এর ৯২ ধারার লঙ্ঘন এবং একই সঙ্গে তা জনস্বার্থের পরিপন্থী।
আপনার মতামত লিখুন :