• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১

তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলায় খালাস


FavIcon
আলোকিত নিউজ ডেস্ক :
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ১০:৫২ এএম
তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলায় খালাস

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অর্থপাচার মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই রায় প্রদান করেন। আপিল বিভাগ মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে তাকে মুক্তি দেয় এবং তারেক রহমানকে বিরোধী দণ্ডের দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রথমে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছিল গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে। একই সাথে, মামুনের ২০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তবে আপিল বিভাগের রায়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনো দণ্ডাদেশ জারি করা হয়নি।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই মামলাটি দায়ের করে। এরপর ২০১০ সালে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়, যেখানে তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলার গতিপথে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়, যার মধ্যে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।

২০১৩ সালে প্রথমে মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলেও, ২০১৬ সালে হাইকোর্ট তাদের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করে, যার পরে ২০২৫ সালে আপিল বিভাগ রায় দিয়েছে যে তারা খালাস পাবেন।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কয়েক ডজন মামলা দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে ৪০টিরও বেশি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।


Side banner
Link copied!