হবিগঞ্জ মাধবপুর উপজেলার গোপালপুরে প্রেমের তথ্য ফাঁস করে দেয়ায় খুন হলো শিশু লিজা। হত্যার রহস্য উদঘাটন করে তিন আসামীকে গ্রেফতার করলো পিবিআই হবিগঞ্জ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, বাহার উদ্দিন (২৩) খাদিজা আক্তার তাজরীন ও আমেনা খাতুন।
গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।
বৃহস্প্রতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)"র পুলিশ সুপার মোঃ আল মামুন শিকদার।
তিনি জানান ওই গ্রামের আসামী খাদিজা আক্তার তাজরীন এর ছোট ভাই তাকবীর হাসান (২০) এর সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর সিরাজের মেয়ে শান্তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একদিন সন্ধ্যায় তাদের বাড়ীর পাশে শান্তা এবং তাকবীর দেখা করার সময় ভিকটিম লিজা তাদের প্রমের সম্পর্ক দেখে ফেলে। উক্ত ঘটনাটি শান্তার মাকে জানায় লিজা। শান্তার মা বিষয়টি জানার পর শান্তাকে গালি-গালাজ করে এবং শান্তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় একপর্যায়ে শান্তার সাথে তাকবীরের প্রেমের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এরই প্রেক্ষিতে তাকবীর ভিকটিম লিজার উপর ক্ষুদ্ধ হয় এবং লিজাকে শায়েস্তা করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। গত বছরের ২১ জুলাই সকাল অনুমান ৭ঘটিকায় লিজা পাশের গন্ধব্যপুর গ্রামের দোকান থেকে নুডুলস ও জর্দ্দার কৌটা কিনে বাড়ি ফেরার পথে তাকবীর নির্জন জায়গায় ভিকটিমকে মামা ওয়েফার নামক চকলেট এর লোভ দেখিয়ে ভুলিয়ে তাদের বাড়ির মাটির ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে লিজাকে গলা টিপে হত্যা করে। হত্যার পর ভিকটিম লিজার লাশ সে তার পরিবারের সহায়তায় বস্তাবন্দি করে বসতঘর সংলগ্ন গোয়ালঘরে লুকিয়ে রাখে। হত্যার ৪ দিন পর অথ্যার্ৎ ২৪ জুলাই মৃতদেহ থেকে দূর্গন্ধ বের হলে তাকবীর তার পরিবারের লোকজন ও আসামী বাহার উদ্দিন-এর সহায়তায় রাতের আঁধারে তাকমিনা আক্তার লিজার মৃত দেহটি আইলাবই গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে ফেলে দেয়।
২৫ জুলাই বেলা অনুমান ১১ ঘটিকায় দুই জন মহিলা গ্রামের বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে লাকড়ি কুড়াতে গিয়ে ভিকটিম লিজার অর্ধ-গলিত মৃতদেহ দেখতে পান এবং ভিকটিমের মা সেলিনা বেগমকে সংবাদ দেন। তাৎক্ষনিক ভাবে সেলিনা বেগম ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তার মেয়ের অর্ধ-গলিত মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পরে লিজার বাবা মোঃ সাগর আলী বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত আইজিপি, পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক দিক নির্দেশনায়, পিবিআই হবিগঞ্জ ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোঃ আল মামুন শিকদার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শাহ নেওয়াজ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে আসামী বাহার উদ্দিন, খাদিজা আক্তার তাজরীন ও আমেনা খাতুন আঞ্জুদেরকে গ্রেফতার করেন।
আপনার মতামত লিখুন :