• ঢাকা
  • শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

ভয়ংকর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: দক্ষিণ এশিয়ায় আবারো যুদ্ধের শঙ্কা


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৫, ০৮:০১ পিএম
ভয়ংকর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: দক্ষিণ এশিয়ায় আবারো যুদ্ধের শঙ্কা

দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক, সীমান্তে নিয়মিত উত্তেজনা এবং পারস্পরিক অবিশ্বাস—এসব যেন ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে সাত দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও উপমহাদেশের দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে শান্তির পথ রচিত হয়নি। বরং সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ আবারও ইঙ্গিত দিচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়া হয়তো এক ভয়াবহ সংঘাতের মুখোমুখি হতে চলেছে।

কাশ্মীর হামলা ও উত্তেজনার সূত্রপাত
গত সপ্তাহে ভারতের পেহেলগামে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলার ঘটনায় গোটা উপত্যকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জবাবে পাকিস্তান ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দেয়। করাচি উপকূলের ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন’-এ ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিলের মধ্যে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি নৌবাহিনী।

ভারতের পক্ষেও রয়েছে পাল্টা প্রস্তুতির ঘোষণা। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় নৌবাহিনী সফলভাবে একটি নিম্ন-উড্ডয়ন মিসাইল ধ্বংসের পরীক্ষা চালিয়েছে। আইএনএস সুরাত থেকে চালানো এই সফল পরীক্ষা ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও অবনতির পথে
এই সামরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি, কূটনৈতিক সম্পর্কেও নেমেছে বরফ। একে অপরের কূটনীতিক বহিষ্কার করেছে দুই দেশ। বন্ধ হয়ে গেছে আকাশসীমাও। ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিলের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের একটি জলসম্পদ ভাগাভাগির সমঝোতা ছিল। পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তকে উসকানিমূলক হিসেবে উল্লেখ করে পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

‘লাল ফাইল’ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
সাম্প্রতিক ঘটনার মধ্যেই ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বৈঠকে তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে দুটি ‘লাল ফাইল’ জমা দেন, যা ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক জল্পনা।

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—এই লাল ফাইল কি ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতির নথিপত্র? রাষ্ট্রপতির কাছে কি যুদ্ধের অনুমতির জন্যই তা পেশ করা হয়েছে? আর যদি সত্যিই তা-ই হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতির প্রতিক্রিয়া কী ছিল?

বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগ
বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা যদি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে যায়, তবে এর প্রভাব শুধু দক্ষিণ এশিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকবে না—পুরো বিশ্ব এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখন আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে কূটনৈতিক চাপ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে।


Side banner
Link copied!