
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে চলছে এক অবর্ণনীয় বিপর্যয়। ইসরায়েলের চলমান হামলার কারণে পুরো অঞ্চল জুড়ে ধ্বংসের শেষ নেই। সম্প্রতি গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে আরও ৩০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, ফলে নিহতের মোট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ হাজার ৪৫০ জনে।
এ ঘটনায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার (৫ মার্চ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মৃতদেহ রয়েছে এবং উদ্ধার কাজ চলমান। গত অক্টোবর থেকে চলতে থাকা এই ভয়াবহ সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, আর প্রত্যেকটি দিন বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। নিহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু ও মহিলা, যাদের অধিকাংশই গুলি, বোমা ও বিমান হামলায় নিহত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য যে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও পরিস্থিতি অবনতি অব্যাহত রয়েছে। যদিও গত জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর হয়েছে, তবুও গাজায় এখনও চলছে একের পর এক আক্রমণ। জাতিসংঘের মতে, গাজা অঞ্চলের প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, আর ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার জনগণ এখন এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রাস্তা-ঘাট, বাড়িঘর ও হাসপাতালগুলোর অবস্থা নাজুক, অনেক জায়গায় মৌলিক সেবা পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। উদ্ধারকর্মীরা কাজ চালিয়ে গেলেও অনেক জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে, যাদের উদ্ধার করতে পারেননি তারা।
এমন এক অগ্নিকাণ্ডে জীবন বাঁচানো প্রতিটি মুহূর্তে এক ভীতিকর যন্ত্রণা। এই মানবিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত, গাজার পরিস্থিতির দিকে দ্রুত নজর দেওয়া, মানবিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করা।
গাজায় এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বজুড়ে আরও সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন, যাতে এই ধরনের অমানবিক ঘটনা আর না ঘটে।
আপনার মতামত লিখুন :