
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তানজিউল ইসলাম জীবন ‘পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক’ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে রেজাল্ট টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর তিনি এই পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্রী ড. তানজিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রেজাল্ট টেম্পারিং ও যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন।প্রশাসন ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং তদন্তের স্বার্থেই তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।’
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় ড. তানজিউল ইসলাম জীবন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে যেন কোনো প্রভাব না পড়ে, সেই বিবেচনায় আমি আমার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছি।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ফেসবুকের মাধ্যমে জানা যায় যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের ই-মেইলে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষক মানসিক নির্যাতন, ভয়ভীতি প্রদর্শন, যৌন হয়রানি এবং মার্ক টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল খারাপ করার অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেয় এবং অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আরো বলেন, “আমরা অভিযোগটি প্রাপ্তির পর থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই ধরনের অভিযোগের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :