
অনশনের একরাত অতিবাহিত করলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। অনশনের দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার এসে পুনরায় তাদেরকে অনশন থেকে সরে আসার আহ্বান জানালে শিক্ষার্থীরা এবারও তা প্রত্যাখ্যান করেন।
এদিকে, এক রাতের অনশনে দুজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ছেলের অনশনের কথা শুনে অপর একজনের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকেও বাসায় পাঠিয়ে দেন সহপাঠীরা।বাকি ২৯ জন শিক্ষার্থী এখনো অনশনে আছেন। কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদ চত্বরে তারা রাতে মশারি টানিয়ে অনশন পালন করেন।
কুয়েটের শিক্ষার্থীদের মিডিয়া ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত মশিউর রহমান শামস্ জানান, অনশনের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন এমন আশংকায় সেখানে মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত করা হচ্ছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে অনশনস্থলে যান।এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের আবারও অনুরোধ করেন অনশন থেকে সরে এসে আলোচনায় বসার জন্য। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানান, কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অনশন থেকে সরবেন না।গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের সৃষ্ট ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবিনামা দেওয়া হয়।ওই দাবি বাস্তবায়ন না হলে তারা উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা ঘোষণা করেন। যার আলোকে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত ১৩ এপ্রিল তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে দুদিন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়ার পর ১৫ এপ্রিল ছয়টি হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন। সর্বশেষ উপাচার্যের পদত্যাগ না হলে তারা আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন। যার আলোকে গতকাল সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেল তিনটা থেকে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদ চত্বরে তারা অনশন শুরু করেন।
আপনার মতামত লিখুন :