• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শিক্ষাক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করুন


FavIcon
এ এস এম মাহফুজুর রহমান (হেলাল):
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২১, ০৮:১৮ পিএম
শিক্ষাক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করুন
শিক্ষাক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করুন

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। সেই শিক্ষাক্ষেত্রে যদি ঘুণ ধরে তাহলে জাঁতি কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যালয়টি শিক্ষা ভবন নামে সবার কাছে পরিচিত। সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা বিলক্ষণ জানেন এই ভবনের মহিমা। ঘুষ-দুর্নীতির ‘সেফ হোম’ হিসেবেই শিক্ষা খাতে কর্মরতদের কাছে পরিচিত এই ভবনটি।  ঘুষ যেমন এখানে স্বীকৃত একটি ব্যাপার, তেমনি দুর্নীতিও যেন ‘প্রাতিষ্ঠানিক রূপ’ পেয়েছে শিক্ষা ভবনে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি এবং শিক্ষকদের পরবর্তী গ্রেড পাওয়া থেকে শুরু করে বদলি, পদোন্নতি, টাইম স্কেল সব কিছুর সঙ্গে ঘুষের গভীর যোগ। শিক্ষাক্ষেত্রকে দুর্নীতিগ্রস্ত করতে শিক্ষা ভবন নামের ভবনটিই যথেষ্ট। 
বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে চার হাজার কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দ্বিতীয় শ্রেণির পদে শুধু এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে খাতা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে। বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরেও বড় নিয়োগ চলছে। তারা বুয়েটকে দিয়ে তাদের খাতা মূল্যায়ন করাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরও শুরুতে তাদের নিয়োগ পরীক্ষার মূল্যায়নের দায়িত্ব দেয় বুয়েটকে। মাউশিও প্রথমে বুয়েটকে দিয়ে খাতা মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিলেও পরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে এই দায়িত্ব দেয়। আর সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে। সম্প্রতি নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠার পর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি তাদের কাজও শুরু করেছিল। তবে তদন্তকাজ শুরুর পর তা বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত বন্ধের এই নির্দেশনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, শিক্ষা ভবন ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত। এটা এখানকার রীতিতে পরিণত হয়েছে। অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন সবার বিরুদ্ধেই ঘোরতর দুর্নীতির অভিযোগ। সাম্প্রতিক সময়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, তা অবশ্যই গুরুতর। কিন্তু তদন্ত শুরু হওয়ার পরও তা বন্ধ হয়ে গেল কেন। এখানেও কি বড় কোনো হাত আছে? সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এটাই প্রত্যাশা। 


Side banner
Link copied!