• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ভূমি কর্মকর্তা জবেদ আলীর সম্পদের পাহাড়


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
ভূমি কর্মকর্তা জবেদ আলীর সম্পদের পাহাড়

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জিরো থেকে হিরো হন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জবেদ আলী। দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জবেদ আলী। অভিযোগে জানা গেছে -গত ১৯৯৬ সালে ১৭তম গ্রেডে মাত্র ২/৩ হাজার টাকার বেতনে সহকারী তহসিলদার হিসাবে চাকরিতে যোগদান করেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জবেদ আলি। পরে ২০০৬ সালে জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় বদলি করা হলে সেখানে তিনি কর্মরত অবস্থায় ঘুষ গ্রহণের দায়ে যৌথ বাহিনীর হাতে আটক হয়ে তিনি দীর্ঘদিন সাময়িক বরখাস্ত থাকেন এবং দুর্ণীতির দায়ে দুর্ণীতি দমন কমিশনে তার নামে মামলা হয়,উক্ত মামলার সুবাদে দুর্ণীতি দমন কমিশনের তৎকালীন আওয়ামী লীগের  অনেক কর্মকর্তাদের সাথে তার সক্ষতা গড়ে উঠায় ফের চাকরীতে যোগদান করে টাকার নেশায় আবার বেপরোয়া হয়ে উঠেন। শুরু হয় বেপরোয়া ঘুষ-দুর্নীতির বিজনেস । ঘুষের এই ব্যবসার মাধ্যমেই তিনি হয়ে উঠেন কোটি কোটি টাকার মালিক। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি তার চলাফেরায় যে বিলাস বহুল গাড়িটি ব্যবহার করেন তা প্রশাসনে কর্মরত উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত গাড়ীকেও হার মানাবে।

সুত্র জানিয়েছে-শহরের প্রাণকেন্দ্র ৩০৭/১ মাসকান্দা আমিরাবাদ মোড়ে গড়ে তোলেন বিলাস বহুল ভবন, ৮৮ সেহড়া রোডে সিটি কনস্ট্রাকশন, বদরের মোড় সংলগ্ন এলাকায় ড্রিম টাওয়ার (,হান্নান সাহেবের গ্যারেজ),১৩ নং আর কে মিশন রোড মোড় সংলগ্ন বাউন্ডারি খালী জায়গায় জমি ক্রয়,১৬৫/ আর কে মিশন রোড জি এম টাওয়ার, ২৩/ক নতুন বাজার ট্রাফিক মোড় মিনা বাজারে বহুতল ভবন,কেওয়াট খালী ময়নার মোড় এলাকায় রয়েছে তার বিলাস বহুল ৬তলা ভবনের বাড়ী, তবে নতুন বাজার মোড়ে মিনা বাজার এলাকায় অবস্থিত বিল্ডিং এর ৮ম তলায় তিনি নিজে বসবাস করেন। প্রায় ৩-৪ কোটি টাকার আসবাবপত্র ও ডেকোরেশনে সজ্জিত বিদেশি স্টাইলে সাজানো-গোছানো এই বাড়ীটি মন্ত্রী এমপিদের বাড়ীকেও হার মানিয়েছে যা স্বচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস হবে না।ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি তার চলাফেরায় যে বিলাস বহুল গাড়িটি ব্যবহার করেন তা প্রশাসনে কর্মরত উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত গাড়ীকেও হার মানাবে। শশুড় বাড়ীসহ পরিবারের বিভিন্ন লোকজনের নামে রয়েছে এসকল সম্পদ। আর এসব অনিয়ম দুর্নীতি থেকে পার পেতে আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করেন তিনি । খুটির জোড় হিসাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করেন জবেদ আলী। এসব সম্পদ ছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে তার অবৈধ সম্পদ। বিভিন্ন ব্যাংকে নামে বেনামে রয়েছে অবৈধ অর্থ,যা তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে বলে দাবী উঠেছে বিভিন্ন মহলে। জবেদ আলী চাকুরীতে যোগদানের পুর্বে তার পারিবারিক ভাবে তেমন সম্পদ,টাকা-পয়সা ছিলোনা, যা তার বর্তমানে রয়েছে। ময়মনসিংহে বর্তমানে সবচেয়ে বড় ডেবেলাপার ব্যবসায়ী হিসাবেও পরিচিত রয়েছে জবেদ আলী। চাকরীতে যোগদান করেই তিনি কিভাবে এতসব সম্পদের মালিক হলেন এ নিয়ে ময়মনসিংহে বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিদের মাঝেও চলছে নানা আলোচনা -সমালোচনা। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এই সম্পদের উৎস কি?
এব্যাপারে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা জবেদ আলীর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।


Side banner
Link copied!