• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

স্ত্রীর নামেও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ‘বন খাদক ’ মোশাররফ


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
স্ত্রীর নামেও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ‘বন খাদক ’ মোশাররফ

বন খাদক সেই ওসমান গণির পথ অনুসরণ করে মোশাররফ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। দুর্নীতির দায় থেকে নিজেকে আড়াল করতে নিয়েছেন নানা কৌশল। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বেশির ভাগ সম্পদই করেছেন স্ত্রী পারভীন সুলতানার নামে। এছাড়া স্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেরও।

তবে শেষ রক্ষা হচ্ছে না ‘বন খাদক ’ মোশাররফ হোসেনের। ইতোমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ‘মেঘনা বিল্ডার্স’ গঠন করে আবাসন ব্যবসায় নামেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোশাররফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে। তাদের ১১২ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।


দুদক সূত্র জানায়, বন বিভাগে চাকরিকালে মোশাররফ হোসেন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নামে-বেনামে তার শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। তাদের নামে ফ্ল্যাট, জমি, বিভিন্ন স্থাপনা, ব্যাংকে জমানো টাকা, মেয়াদি আমানতসহ নানা সম্পদ রয়েছে। কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যে স্ত্রী পারভীন সুলতানার নামে চালু করা হয় মেঘনা’স ফিটনেস সেন্টার। অপরাধলব্ধ অর্থ বৈধ দেখাতে মোশাররফ হোসেন আবাসন খাতের ব্যবসায় নামেন। বর্তমানে তিনি মেঘনা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। এছাড়া সন্তানের নামেও করেছেন সম্পদ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসতে পারে অনেক তথ্য।

তাদের সম্পদের মধ্যে রয়েছে- পারভীন সুলতানার নামে ধানমন্ডির ১১ নম্বর রোডে অজান্তা অ্যাপার্টমেন্টে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ২ হাজার ৪০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, ঢাকার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে মেমোরো ভিলায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের ৪ হাজার ৮২০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং সোসাইটির বি ব্লকে ১০ কোটি টাকা মূল্যের বহুতল বাড়ি, মানিকগঞ্জের রাখোরা মৌজায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ২০ বিঘা জমি, ঢাকার বাড্ডার সাঁতারকুল মৌজায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ৮ বিঘা জমি, রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির লেভেল-১, ব্লক সিতে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ৪০০ বর্গফুটের দোকান, রাজধানীর ৫৩, বায়তুল মোকাররমে ১০ কোটি টাকার ৩০০ বর্গফুটের দোকান, কক্সবাজারের টেকনাফে ৫ কোটি টাকা মূল্যের স্থাপনাসহ ৩ বিঘা জমি, কক্সবাজার ইনানী সমুদ্র সৈকতে ১০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাপনাসহ ১ বিঘা জমি ও চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ১০ কোটি টাকা মূল্যের ৬ কাঠা জমি।

এছাড়া মোশাররফ হোসেনের নামে আছে- ঢাকার ধানমন্ডির ১৬ নম্বর রোডে (পুরোনো-২৭) ১৬ নম্বর প্লটে জেনেটিক প্লাজার চতুর্থ তলায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের ৩ হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এই ফ্ল্যাটেই তিনি বাস করেন। তার নামে ঢাকার চন্দ্রিমা সুপার মার্কেটে ২ কোটি টাকা মূল্যের ৩০০ বর্গফুটের দোকান, ঢাকার পূর্বাচলে ২০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাপনাসহ ১০ কাঠা জমি, বাগেরহাটের গোপালকাঠি গ্রামে ২০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাপনাসহ ১০ কাঠা জমি। এ ছাড়া বিভিন্ন জনকে ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছে ১ কোটি টাকা। এছাড়া মোশাররফ হোসেনের মেয়ে মোহনা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে ৫ কোটি টাকায় তার নামে কেনা হয়েছে একটি ফ্ল্যাট।


Side banner
Link copied!