বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী গাইবান্ধা সদর উপজেলার চকবারুল গ্রামের সুকুমার চন্দ্র শীল এর ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র শীল(২৫) ও তার সহযোগী বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তেলীহাটা গ্রামের সন্তোষ কুমার শীলের ছেলে শয়ন কুমার শীল(২১)। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় দুপচাঁচিয়া থানার এসআই মোসাদ্দেকুল ইসলাম ওইদিন রাতেই গ্রেপ্তারকৃত দুইজনের বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে গত ২৭ফেব্রুয়ারি দুপুর দু’টায় দুপচাঁচিয়া থানা চত্বরে আদমদীঘি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ প্রেস ব্রিফিং করেছেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন, ঘটনারদিন সন্ধ্যায় উক্ত সঞ্জয় চন্দ্র শীল সিও অফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সেজে বিভিন্ন বাসে তল্লাশী চালাচ্ছিল। এসময় ওই স্থানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য থানার এসআই মোসাদ্দেকুল ইসলামকে বিষয়টি জানান। এসআই মোসাদ্দেক ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের কার্যক্রম ও গতিবিধি দেখে সন্দেহ হলে তিনি তাদের নাম পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন।
জিজ্ঞাসাকালে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী নিজেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রংপুর কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কচুরিপাড়া গ্রামের শিবনাথ চন্দ্র ওরফে সুকুমারের ছেলে বলে জানান। সেই সঙ্গে তার পরিচয়পত্র ও বেশকিছু ভিজিটিং কার্ড উপস্থাপন করেন। তাতে লেখা রয়েছে তিনি এসএ অজয় কুমার দেবনাথ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিভিল), মাদক ও তামাক সেল, ৩৯তম বিসিএস প্রশাসন, বিভাগীয় কার্যালয় রংপুর। উক্ত আসামীর ঠিকানা ও পরিচয় যাচাই করে সঠিক না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে তার ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে প্রতারনা মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়দানকারী উক্ত সঞ্জয় চন্দ্র শীল গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এসময় পুলিশ তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
আপনার মতামত লিখুন :