• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

রাজধানীর বিশ্বরোডে “লেগভিউ” হোটেলের অন্তরালে চলছে অবৈধ কর্মকান্ড !


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ১০:৩৪ পিএম
রাজধানীর বিশ্বরোডে “লেগভিউ” হোটেলের অন্তরালে  চলছে অবৈধ কর্মকান্ড !

প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড “লেগ ভিউ” নামক অবাসিক হোটেলেটিতে চলছে স্কর্ট সার্ভিস ও ব্ল্যাক-মেইল বাণিজ্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুলিশ প্রসাশনের অভিযানের ভূমিকা থাকলেও পকেট ভাড়ি করে সুযোগ করে দিচ্ছে আসামাজিক বাণিজ্য। এমনকি প্রতিষ্ঠানটিতে রুমে তালা লাগিয়ে উঠতি বয়সের মেয়েদের আটকিয়ে রাখার দৃশ্য পরে অনুসন্ধানকালে। প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা দালাল চক্ররা পথচারীদের টার্গেট করে মামা বলে ডাকতে থাকেন এবং বলেন মামা রুম ভাড়া নিবেন নাকি, রুম ভাড়া নিলে সব ব্যবস্থা আছে। তবে হোটেল মালিক কিংবা তাদের পালিত দালাল চক্ররা মানব পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।সম্প্রত্তি, দালাল চক্র কিংবা প্রভাবশালীদের পাহারায় চলছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিনব কায়দায় হোটেলটি পরিচালনা করে আসছেন হোটেল মালিক আব্দুর ছত্তার গং। যা বোঝার কোন উপায় নেই যে হোটেলটির ভিতরে কি হচ্ছে।  এছাড়া খদ্দের ও রুম বর্ডারাও প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থীও এসব হোটেলে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে অসামাজিক কর্মকান্ডে।প্রতিটি হোটেলে ঘণ্টা প্রতি রুম ভাড়া ২০০০-৩০০০ হাজার টাকা নিয়ে রুম স্বমী-স্ত্রী কিংবা গার্লফ্রেন্ড পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ-অসামাজিক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। যদি নিয়মে রয়েছে কোন বর্ডারকে ভাড়া দিতে হলে নির্ধারিত ফর্মে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিদিন নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও কোনটাই মানছে না মালিক কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে তাদের ছবি তোলারও কথা রয়েছে। এমনকি হোটেলের নির্দিষ্ট ভলিয়মে লেখা হচ্ছে না বর্ডারদের পরিচয়। এভাবেই ধর্ষনের শিকার হয় অনেক তরুনী। এমনকি সন্ধ্যার পর পরই বসে জুয়ার আসর এবং খদ্দেরদের সমগম।এলাকাবাসি আরো অভিযোগ করে বলেন,তবে জনগনকে লোভ দেখানোর জণ্য পুলিশ প্রসাশনের মাঝে মধ্যে দুই একটি অভিযান চালিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু পরে আবারও হোটেলটিতে চোঁখে একই দৃশ্য। আর আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে আসে মালিকসহ দালাল চক্র। অনেকদিন ধরেই চলছে হোটেলটিতে এধরনের তরুন-তরুনীদের লীলা খেলা।এ বিষয়ে হোটেল মালিক আব্দুর সত্তার গং বলেন, আমরা থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা করি। তা নাহলে কি ব্যবসা করা যায়। এমনকি থানা পুলিশ কিংবা মহল্লার সবাই জানেন। তাছাড়া এটুকু ব্যবসা না করলে কিভাবে হোটেল ভাড়া দিব বিল্ডং মালিককে। আপনাদের যদি কিছু করার থাকে কইরেন।এ বিষয়ে ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে আপনাদের অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এধরনের ব্যবসায়ীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন আইন সবার জণ্য সমান। তাছাড়া এধরনের আবাসিক হোটেলগুলোকে কোন ছাড় দেয়া হবেনা।


Side banner
Link copied!