ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবীনগর ১২নং শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডে আবারো মেম্বার প্রার্থী হতে চায় চোর একাধিক মাদক মামলাসহ ডজন খানেক মামলার আসামি (বিএনপির কর্মী) ইয়ার হোসেন।মুখোশধারী মাদক কারবারি মেম্বার ইয়ার হোসেনের জমাকৃত নমিনেশন বাতিল ঘোষণার দাবি স্থানীয়দের।তিনি বর্তমান মেম্বার ও একাধিক চলমান মাদক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি। বিগত পাঁচ বছর ধরে নামে মেম্বার হলেও একাধিক মাদক মামলা ও মাদক কারবারের কারণে বেশির ভাগ সময় কারাগারে ও পালিয়ে থাকতে হয়েছে তার।
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অবৈধ মাদকের কালো টাকায় আবারো মেম্বার হতে মরিয়া হয়ে গেছে চিহ্ন এই মাদক কারবারি। এ নিয়ে ১২নং শ্রীরামপুর ৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় চলছে তোলপাড়।
এছাড়া মাদক মামলার জেল খাটা আসামি ইয়ার হোসেন বর্তমান যুব সমাজকে ধ্বংসের যে পায়তারা করে যাচ্ছে তার মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রকাশ্যে প্রচারণায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান, মহিলা মেম্বার ও মেম্বার প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা প্রদান হলেও, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই পর্যায়ে রয়েছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে।
এই নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে চরম। একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি ও একাধিক মামলার আসামি কিভাবে ইউনিয়ন পরিষদের মত এত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারে?
সেই যদি আবারো মাদকের কালো টাকায় মেম্বার হয় তাহলে যুব সমাজকে মাদকের কালো থাবা থেকে রক্ষা করা কঠিন হবে বলে মনে করেন স্থানীয় ভোটারা।বিগত ৭ বছর আগে যার নুন আতে পান্তা ফুরাত ও এক সময়ে চুরি করাই যার পেশা ছিল, তিনি বর্তমানে ১ কোটি টাকার মালিক হলেন কি ভাবে? নামে বেনামেও গরেছেন অধেল সম্পদ ।তার এত টাকার আয়ের উৎস কোথায়? একাধিক সূত্রে জানা যায়, মাদক কারবারি ইয়ার হোসেন নিজের মাদক কারবার পরিচালনা করার জন্য বেশ শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি করেছে । তার এ সকল অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস পায়না কেউ । মাদক নিয়ে একাধিক বার জেল কেটেও সেই জামিনে বের হয়ে আবারো চালিয়ে যাচ্ছে গোপনে মাদক কারবারি।
তিনি কালো টাকার বিনিময়ে এইবারও মেম্বার হতে উঠে পড়ে লেগেছে এলাকা জুড়ে।স্থানীয় ভোটারারা জানান,তার কারণে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ইয়ার হোসেনের মত মাদক কারবারি ও একাধিক এজাহার ভুক্ত আসামি কে আমাদের জনপ্রতিনিধি বানাতে চাই না।সরকারের উচিত কোন মাদক কারবারি যাতে নির্বাচনে দাঁড়াতে না পারে,কালো টাকায় সেই নির্বাচিত হলে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :