পদ্মা নদীর পানি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সেখানে উপজেলার নদী তীরবর্তী অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত দুই হাজার পরিবার। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ অনেক রাস্তাঘাট। এতে করে এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোয়ালন্দ উপজেলার গেজ রিডার সালমা খাতুন জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীর পানির বর্তমান লেভেল ৯ দশমিক ১৬ মিটার। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় পানি বৃদ্ধির হার সোমবার কিছুটা কমেছে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যাবস্থাপক জামাল হোসেন জানিয়েছেন, পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সোমবার সকালে দৌলতদিয়ার ৪ নং ফেরিঘাটের পন্টুনের সংযোগ সড়কটি ডুবে যায়। এছাড়া তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে শতশত যানবাহন।গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু সাইদ মন্ডল জানিয়েছেন, উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের দেয়া তথ্যানুযায়ী সোমবার পর্যন্ত ১ হাজার ৯৫০ টি পরিবার আংশিক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।এর মধ্যে দৌলতদিয়া ইউনিয়নে ৮০০, দেবগ্রাম ইউনিয়নে ৬০০, উজানচর ইউনিয়নে ৩০০ এবং ছোটভাকলা ইউনিয়নে ২৫০ টি পরিবার রয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভুক্তভোগী পরিবারের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। প্রাপ্ত তালিকা সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের নিকট পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :