করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এক সপ্তাহের জন্য সরকারের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপের পর থেকে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। সোমবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় রুটে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রতিটি ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হচ্ছে মানুষ।সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় হাজারো পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় আছে। প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তিতে পড়েছে এ সব ট্রাকেরচালকরা।এদিকে চলমান লকডাউনের কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে সব যাত্রীই পার হচ্ছেন ফেরিতে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা সিএনজি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন উপায়ে ঘাটে পৌঁছাচ্ছেন। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে ও করোনার ঝুঁকি নিয়েই তারা ছুটছেন গন্তব্যে।ঢাকার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত রাজবাড়ির পাংশার বাসিন্দা তমা বিশ্বাস বলেন, ঢাকা শহরে লকডাউনের কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জীবন বাঁচাতেই গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেলে ২ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত এসেছি। ওখান থেকে ফেরিতে পার হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে আসলাম।এখান থেকে কিভাবে যাবো সেটাই ভাবছি।মোতাহার হোসেন (৬০) নামে এক ব্যক্তি বলেন, সাভার থেকে মাইক্রোবাসে ৫০০ টাকা ভাড়া দিয়ে পাটুরিয়া পর্যন্ত আসছি। অন্য সময় ৫০ টাকা দিয়ে আসতাম। কঠোর লকডাউনের কারণে সব কিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জীবনের তাগিদে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি।ফরিদপুর থেকে ঢাকায় যাওয়া যাত্রী মো. সোহেল রানা বলেন, আশুলিয়ার শারমিন গ্রুপের একটি গার্মেন্টস কাজ করি। গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতে এক সহকর্মী মোবাইলে জানালো গার্মেন্টস বন্ধ হয়নি। তাই করোনার ভয় থাকলেও চাকরি বাঁচাতে ঢাকায় যেতে হচ্ছে।বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক ফিরোজ শেখ জানান, লকলাউনের খবরে সবাই যার যার গন্তব্যে যাওয়ার জন্য ছুটছে। যে কারণে দৌলতদিয়ায় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি তৈরি হয়েছে। এছাড়া লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রী ও অ্যাম্বুলেন্স পার করতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। যে কারণে ঘাট এলাকায় যানজটের তৈরি হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :