খুনের মামলায় জামিন পেয়ে নিহতের মেয়েকে হাত-পা-মুখ বেঁধে ধর্ষণ ও বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাবিলপুর চরের ভুট্টা ক্ষেত থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধারের পর নির্যাতিতা গৃহবধূকে ভর্তি করা হয়েছে জেলা হাসপাতালে।এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান। তবে পুলিশ বলছে এখনো তারা লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে পরে ব্যবস্থা নেবে।নির্যাতিতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে কাবিলপুর চরে ভুট্টার পাতা ছিঁড়তে গেলে তার বাবাকে হত্যার মামলার আসামি হাসমত দেওয়ানের বোন চায়না বেগমসহ কয়েকজন যুবক তার মুখ বেঁধে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে বেঁধে তাকে ধর্ষণ করা হয়।নির্যাতিতার স্বজনদের অভিযোগ, নির্যাতিতার বাবাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় প্রতিপক্ষ হাসমত দেওয়ানসহ ২৬ জনের নামে থানায় মামলা করে তার পরিবার। হাসমতসহ আসামিরা আদালত থেকে জামিনের পর বুধবার লালমিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে।গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমরান হোসাইন জানান, নির্যাতিতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে।ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, খুনের আসামি জামিন নিয়ে বের হয়ে নিহতের ছোট মেয়েকে এভাবে ধর্ষণ করবে, এটা নজিরবিহীন ঘটনা। এ কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাওছার আলী বলেন, এখনো তারা লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।উল্লখ্য, পারিবারিক বিরোধের জেরে গত ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন লাল মিয়া। তিনি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ফজলুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :