পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য মো: শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল মুক্তিযুদ্ধ করেননি- এ রকম অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে। ভান্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ শিয়ালকাঠী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম আলী বাহাদুর ও অপর দুজন মুক্তিযোদ্ধা এ অভিযোগ দিয়েছেন।জানা গেছে, ভান্ডারিয়া শহরের লক্ষীপুরা এলাকার বাসিন্দা মো: শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর প্রতিনিধি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য হয়েছেন।যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য নন এ রকম আরো দুজনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তারা মুক্তিযোদ্ধার সনদধারী ও ভাতা নিচ্ছেন কিন্তু তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। তারা হলেন, মৃত আ: গনি শাহ, পিতা মৃত আ: হাকিম শাহ, গ্রাম লক্ষীপুরা, ভান্ডারিয়া এবং আ: আজিজ হাওলাদার, পিতা আ: হাকিম হাওলাদার, গ্রাম ইকরি।ভান্ডারিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নাজমুল আলম জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দেন। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগকারী ও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে ১৪ ফেব্রুয়ারি সকলকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।ভান্ডারিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা বাচ্চু জানান, তিনি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মো: শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি, নিজামুল হক নান্না জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, আর সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। নোটিশ দেয়ার পর মো: শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল হাজির হয়ে তার স্বপক্ষে প্রমাণপত্র উপস্থাপন করেন। আর সাক্ষী হাজির করার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি সময় চেয়েছেন।মো: শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতেু বিষয়টির তদন্ত চলছে সে কারণে এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করা যাবে না।জানতে চাইলে মো: শাহাবুদ্দিন শাহ বাবুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি ভান্ডারিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছি আর যুদ্ধও করেছি ভান্ডারিয়ায়। আমি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাজ-টাজ বেশি করি এ কারণে অনেকেই আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত। সামনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন। আমাকে হেয় করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে আমার বিরুদ্ধে এ রকম একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছিল, সেটাও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছিল।এরপর তিনি বলেন, আমার বাবা মৃত আ: গনি শাহও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :