আর কখনো কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে কান ধরে পুকুরে সাতবার ডুব দিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছেন মকলেছুর রহমান মকলেছ নামে এক কাউন্সিলর প্রার্থী। ভোটের ময়দানে ভোটাররা যে কার- তা নির্ণয় করা বড়ই কঠিন। মানুষ কথা দিয়ে কথা রাখে না, যার প্রমাণ তিনি পেয়েছেন।গত ১৬ জানুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত হলো মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে তিনি ৬ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন। ভোটে পরাজিত হয়ে রোববার বিকেলে তার বাড়ির পাশেই একটি পুকুরে নেমে কান ধরে সাতবার ডুব দিয়ে প্রতিজ্ঞা করেন আর তিনি কোন নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না।মকলেছুর রহমান পেশায় ডিস ব্যবসার লাইন বিল উত্তোলনকারী। তার সখ ছিল পৌরসভার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করবেন। এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করবেন। তাই ২০১৫ সালের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকেই কাউন্সিলর পদে ভোট করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তিনি। সে জন্য গাংনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব মালশাদহ গ্রামের মানুষের সাথে মতবিনিময়, ভোটারদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা, অসহায় এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ নানা ধরণের সামাজিক কাজ করেন তিনি। এতে ভোটাররাও তাকে ভোট দেয়ার আশ্বাস দেয়। ভোটারদের আশ্বাসে তিনি এবার ভোট করেছেন।এ নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে মকলেছুর রহমান মকলেছ (টেবিল ল্যাম্প প্রতীক) মাত্র ১২৫ ভোট পেয়ে ৪ নম্বর হয়েছেন। আর ৩৩৪ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন নাসির উদ্দীন।মকলেছুর রহমান জানান, মানুষ এমনও আছে, নিজের কলিজা ভুনা করে দিলেও বলবে লবণ কম হইছে। যারা তাকে ভোট দিতে চেয়েছিলেন তারা কেউ ভোট দেয়নি। তাই আর তিনি ভোটে যাবেন না। রাতের ঘুম নষ্ট করবেন না।
আপনার মতামত লিখুন :