বরগুনার আমতলীতে মেহেদী (২০) ও রাসেল (২২) নামে দুই বখাটের বিরুদ্ধে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণ শেষে স্কুলছাত্রীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ধারণ করে এবং পুনরায় তাদের ডাকে সাড়া না দিলে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। গত শনিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের বাঁধঘাট চৌরাস্তায় সকাল- সন্ধ্যা হোটেলের সামনে সোলায়মানের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। ভয়ে ছাত্রীর অভিভাবকরা আইনগত পদক্ষেপ নিতে সাহস পাচ্ছেন না। গতকাল স্বজনরা ওই স্কুলছাত্রীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। জানা গেছে, উপজেলার মহিষডাঙ্গা গ্রামের বারেক মৃধার ছেলে ট্রাকের হেলপার মেহেদী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ৫ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে গত ৬ মাস ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্তু বখাটের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়নি স্কুলছাত্রী। গত তিন মাস পূর্বে বখাটে মেহেদী ওই ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে।গত শনিবার বিকালে ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে মেহেদী তার বন্ধু রাসেলকে নিয়ে আমতলী পৌর শহরের বাঁধঘাট চৌরাস্তায় সকাল- সন্ধ্যা হোটেলে আসে। ওই হোটেল থেকে মেহেদী তার ভাবীকে দেখানোর কথা বলে ওই ছাত্রীকে হোটেলের সামনে সোলায়মানের বাসায় নিয়ে যায়। ওই সময় সোলায়মান বাসায় ছিল কিন্তু দুই বখাটে ও স্কুলছাত্রীকে ঘরে তুলে দিয়ে সোলায়মান তালা দিয়ে চলে যায়। ওই বাসায় দুই বন্ধু মিলে ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এই ঘটনা কাউকে জানালে এবং পুনরায় তাদের ডাকে সাড়া না দিলে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখায় তারা এমন অভিযোগ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর। ওইদিন রাতেই বাসায় গিয়ে এ ঘটনা ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানায়। নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয়ে ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পায়নি। গত সোমবার রাতে ওই দুই বখাটে মুঠোফোনে আবার স্কুলছাত্রীকে তাদের সঙ্গে একটি নির্জন স্থানে দেখা করার প্রস্তাব দেয়। নিরুপায় হয়ে স্বজনরা গতকাল সকালে ওই ছাত্রীকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ফেসবুকে ছবি ছেড়ে দেয়ার ভয়ে আমি আইনি পদক্ষেপ নিতে সাহস পায়নি। এ ঘটনায় আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসক ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ওই ছাত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুইদিন পরে নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :