ঝিনাইদহে গরীবের ঘর পেল শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের তিন ভাইপো। যদিও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল হোসেন দাবি করেন যারা ঘর পেয়েছে তারাও গরীব। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।চেয়ারম্যানের বড় ভাই হুদা-মাইলমারি গ্রামের মৃত আজিবর মণ্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম ও শামসুল ইসলাম এবং মোকাদ্দেস মণ্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলামকে ঘর দেওয়া হয়েছে।দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ ঘর গুলো নির্মাণ করা হয়েছে।শৈলকূপা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ - ২০১৯ অর্থ বছরে শৈলকুপা উপজেলায় ৩৩টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর বরাদ্দ করা হয়। একেকটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। ২০১৯ - ২০২০ অর্থ বছরে শৈলকুপা উপজেলায় ৪০টি ঘর বরাদ্দ ছিল। একেকটি ঘর নির্মাণে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। এ প্রকল্পের অধীন চেয়ারম্যানের তিন ভাইপো ঘর পান। চেয়ারম্যানের বাড়ির সাথে লাগোয়া এ ঘর গুলো নির্মিত হয়েছে। সরকারের নিয়ম আছে এক শতক থেকে ১০ শতক জমি আছে ও ঘর নেই এমন ব্যক্তি এ ঘর পাবে।গ্রামের রাস্তায় রাতে আলো জালানোর জন্য সরকার থেকে সোলার বাঁশি বসানো হয়। চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে একটি ও তার ভাইপোর বাড়ির সামনে আরেকটি বাতি বসানো হয়েছে।এব্যাপারে মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, তিনি কোন স্বজনপ্রীতি করেননি। তার তিন ভাইপো গরীব। সরকারের নিয়মনীতি মেনে তাদের ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে।জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। তদন্ত করে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :