অবশেষে শ্বশুর কর্তৃক পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে বুধবার (৭ অক্টোবর) বিভিন্ন সংবাদপত্রের অনলাইন ভার্সনে সংবাদ প্রকাশিত হলে মামলাটি নিয়ে গভীর রাতে সক্রিয় হয় উঠেন চরফ্যাশন থানা পুলিশ। সপ্তাহকাল গড়িমসি করে বুধবার গভীর রাতে তড়িঘড়ি করে ভুক্তভোগীকে খুঁজে এনে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা নেন এবং ধর্ষণের চেষ্টাকারী শ্বশুরকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেন।গ্রেফতারকৃত কাদের মাঝি আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খাসেরহাট গ্রামের মৃত সৈয়দ আহমেদ মাঝির ছেলে।জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খাসেরহাট গ্রামের নিজ বসতঘরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন শ্বশুর কাদের মাঝি ওরফে কাদের ভান্ডারী(৫০)। ঘটনার সময় ভুক্তভোগীর দিনমজুর স্বামী চট্টগ্রাম এবং শাশুড়ি বাড়িতে ছিলেন না। ঘরে পুত্রবধূ আর শ্বশুর ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। এই সুযোগে শ্বশুর ঘুমন্ত পুত্রবধূকে ঝাপটে ধরে মুখে গামছা গুজে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় কামড়িয়ে পুত্রবধূর বুকে ও ঠোঁটে রক্তাক্ত ও ক্ষত করেন। ইজ্জত রক্ষার্থে পুত্রবধূ ঘর থেকে বের হয়ে গভীর রাতে পাশের চাচা শ্বশুরের ঘরে আশ্রয় নেন। পরদিন শুক্রবার (১ অক্টোবর) ওই পুত্রবধূকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর ওইদিনই ভুক্তভোগী ধর্ষণের চেষ্টাকারী শ্বশুরকে আসাশি করে চরফ্যাশন থানায় এজাহার দাখিল করেন। লিখিত এজাহার পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু মামলা নেই নিচ্ছি বলে ৭ দিন অতিবাহিত করে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার শিকার বধুকে আদালতে গিয়ে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। এই ঘটনা নিয়ে বুধবার বিকেলে ভিক্টিম স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।যার প্রেক্ষিতে বুধবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে সংবাদ প্রকাশিত হলে সক্রিয় হয়ে উঠেন থানা পুলিশ। গভীর রাতে পুলিশ ভুক্তভোগীকে খুঁজে এনে নতুন করে ধর্ষণের চেষ্টার এজাহার নেন এবং শ্বশুর কাদের মাঝিকে গ্রেফতার করেন।ওসি মনির হোসেন মিয়া জানান, পুত্রবধূর দায়ের করা মামলায় বুধবার রাতেই ধর্ষণের চেষ্টাকারী শ্বশুরকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :