• ঢাকা
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ যুবকের খণ্ডিত লাশ মিলল রেললাইনে


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ১২:০১ পিএম
শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ যুবকের খণ্ডিত লাশ মিলল রেললাইনে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ ইকবাল হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের খণ্ডিত মরদেহ রেললাইন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে ভানুগাছ রেলস্টেশন সংলগ্ন গোপালনগর রেলগেটের পাশে মরদেহটি পাওয়া যায়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে রেললাইনে ফেলে গেছেন। এর আগে শনিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ি বেড়ানো শেষে বাড়ি ফেরার পথে ইকবাল হোসেন নিখোঁজ হন।

ইকবাল হোসেন উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামের ইলিয়াস মিয়ার ছেলে। ছয় মাস আগে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভেড়াছড়া গ্রামের জোনাব আলীর মেয়ে রিমা আক্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

জানা যায়, রবিবার সকালে উপজেলা সদর গোপালনগর রেলগেটের পাশে রেললাইনে একটি দ্বিখণ্ডিত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।পরে পরিবারের সদস্যরা মরদেহটি ইকবালের বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে মৌলভীবাজার পিবিআই পুলিশের একটি টিম।

 

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ইকবাল হোসেন শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। শনিবার বাড়ি ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন।এর পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ইকবালের সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়। শনিবার কমলগঞ্জ থানায় নিহতের বাবা জিডি করেন। 

 

নিহত ইকবালের ভাই সালমান আহমেদ বলেন, আমার ভাইকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেলে রেখেছে। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।

এদিকে নিহতের স্ত্রী রিমা আক্তার বলেন, শুক্রবার তিনি আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। শনিবার বিকেল তিনি বাড়ির উদ্দেশে ভেড়াছড়া থেকে বেরিয়ে যান। পরে সন্ধ্যায় মোবাইলে বন্ধ পেলে থানায় জিডি করা হয়। ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বের করার দাবি জানাচ্ছি।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, শনিবার ইকবাল হোসেনের বাবা নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জিডি করেছিলেন। 

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, আমরা রেললাইন থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর জানা যাবে। 


Side banner
Link copied!