• ঢাকা
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

ভোলার অভ্যন্তরীণ ৫ রুটে বাস ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
ভোলার অভ্যন্তরীণ ৫ রুটে বাস ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ভোলার চরফ্যাশনের বাসে যাত্রী উঠানো নিয়ে বাসের চালক ও সুপারভাইজারকে মারধরের ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভোলার অভ্যন্তরীণ ৫টি রুটে দ্বিতীয় দিনের মতো বাস ধর্মঘট চলছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। হঠাৎ করে ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় অটোরিকশায় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে ঝুকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিতীয় দিনের মতো বাস শ্রমিকরা বাস বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন।আর বাস স্ট্যান্ডে সিএনজি পেলেই আটকে রাখছেন তারা। এ পর্যন্ত ১০টির অধিক সিএনজি বাস ডিপোতে আটক করে রেখেছেন তারা। তাই এই রুটে সিএনজি চলাচলও বন্ধ রয়েছে। তবে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসে করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যাত্রীদের চলাচল করতে হচ্ছে।

চরফ্যাশনের বাসিন্দা মো. শাহাদাত হোসেন জানান, জরুরী কাজে তিনি গতকাল ভোলায় এসেছেন। কাজ সেরে বাস স্ট্যান্ডে এসে দেখেন বাস ধর্মঘট চলছে। তাই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাসে করে চরফ্যাশন যাচ্ছেন। 

আল আমিন, জিয়াউর রহমান, মৌসুমীসহ ১০-১৫জন যাত্রী জানান, ভোলার ৭টি উপজেলার সব মানুষকে জরুরী কাজে ভোলা শহরে আসতে হয়।তারাও জরুরী কাজে ভোলায় এসেছেন। বাস ধর্মঘটের কারণে তারা এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

 

এর আগে গতকাল রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ভোলার চরফ্যাশন বাজারে বাসে যাত্রী উঠানোকে কেন্দ্র করে সিএনজি চালকরা অনন্যা পরিবহন নামের একটি বাসের চালক সজিব ও শ্রমিক তানজিলকে মারধর করে। এতে বাস চালক সজিব ও শ্রমিক তানজিল গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার সন্ধ্যা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট ডাক দেন ভোলা বাস শ্রমিক ইউনিয়ন।এতে করে ভোলার অভ্যন্তরীণ ৫টি রুট ভোলা-চরফ্যাশন, ভোলা-দৌলতখান, ভোলা-তজুমদ্দিন, ভোলা-ইলিশা ও ভোলা-ভেদুরিয়া রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে।

ভোলা জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজাদ মিয়া জানান, গতকাল রবিবার বিকেল ৪টার দিকে চরফ্যাশন থেকে অনন্যা নামের একটি বাস ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার সময় চরফ্যাশনের সদর রোডের ন্যাশনাল ব্যাংকের সামনে সিএনজি স্ট্যান্ডে আসলে সেখানে থাকা এক যাত্রী বাসে ওঠার জন্য ইশারা দিয়ে বাস থামায়। ওই যাত্রীকে বাসে উঠানোর কারণে সেখানে থাকা ২০-৩০জন সিএনজি চালক এসএস পাইপ দিয়ে বাসের চালক ও সুপার ভাইজারকে বেদম মারধর করে বাসটিকে আটকে দেয়। পরে বাসটি চরফ্যাশন বাস ডিপোতে নিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে সিএনজি চলাচল বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের এ ধর্মঘট চলবে।

ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতির ডিপো কর্মকর্তা অসিম দত্ত  জানান, শ্রমিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শ্রমিকরা ধর্মঘট ডেকেছে। এখানে মালিকদের কিছু করার নেই। শ্রমিকরা কাজ না করলে বাস চালানো অসম্ভব।এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বাস স্ট্যান্ডের ভিতরে সিএনজি রাখাকে কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও সিএনজি চালকদের মধ্যে দুই দিন পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় ২টি বাস ও ৯টি সিএনজিতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। পরে ভোলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার দুই পক্ষের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি ফয়সালা করে দেন।


Side banner
Link copied!