• ঢাকা
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

পরীক্ষা শেষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৫, ১১:৫৪ এএম
পরীক্ষা শেষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের বলাখাল জেএন হাই স্কুল এন্ড করিগরি কলেজ কেন্দ্রের সামনে থেকে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরতর বলে জানা গেছে। রবিবার (২৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত পরীক্ষা শেষে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্ততি চলছে।আহতরা হলেন, বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের বানিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম ও রায়হান। দুইজনেই এদিন ফিন্যন্স বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ধেররার জনি গং-এ কাণ্ড ঘটনায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীরা জানায়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।এতে ধেররা বনাম বাকিলার মাঝে খেলা হয়। ধেররা পক্ষে খেলতে আসা একজনের সঙ্গে বাকিলার এক যুবকের পুরনো বিষয় নিয়ে মাঠে কথা কাটাকাটি হয়।

 

সেই কথা কাটাকাটির জেরে রবিবার পরীক্ষা শেষে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শেষে কেন্দ্রের বাইরে থেকে তুলে নিয়ে বেদম মারধর করা হয়।

ফাহিম ও রায়হানকে মারধরের সময় শনিবার খেলার সময় ধেররার ছেলেদের বাকিলার যারা মেরেছে তাদেরকে খবর দিতে বারবার চাপ দেয় তারা।

গুরতর আহত শিক্ষার্থী ফাহিম জানান, 'শনিবার বিকেলে বাকিলা মাঠে কি হইছে আমি জানিই না। অথচ পরীক্ষা শেষে জনিসহ চারজন মিলে জোর করে আমাকে সিএনজিতে করে ধেররা নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আরো কয়েকজনকে ফোন করে তারা ৮/১০ জন জড়ো হয়। এর পরেই তাদের একজন কোমরের বেল্ট খুলে আমাকে বেদম মারধর করে। এ সময় কয়েকজন মুরুব্বি আমাকে তাদের হাত থেকে ছাড়িয়ে সিএনজিতে তুলে বাকিলা পাঠিয়ে দেয়।

বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান জানান, 'কোনো কারণ ছাড়া আমাদের দুই পরীক্ষার্থীকে ধেররাতে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। পরে আমরা আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করাই। এবার আমরা আইনানুগ ব্যবস্থায় যাব।'

বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কারিগরি কলেজের কেন্দ্র সচিব খোদেজা বেগম জানান, বিষয়টি বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিছুক্ষণ আগে জানিয়েছেন, তবে বিস্তারিত জেনে পরে জানাব। পরে এই অধ্যক্ষকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, 'এ বিষয়ে বিদ্যালয় কতৃর্তৃপক্ষকে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।'


Side banner
Link copied!