• ঢাকা
  • সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, দ্বিতীয় স্বামী গ্রেপ্তার


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, দ্বিতীয় স্বামী গ্রেপ্তার

সাভারে তানিয়া আক্তার (২৪) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী শ্রমিককে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে বাঁশঝাড়ের ভেতরে ধর্ষণ করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিহতের দ্বিতীয় স্বামী মো. সোহাগ মোল্লার (৩৫) বিরুদ্ধে। তাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সাভার মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।গ্রেপ্তার সোহাগ মোল্লা (৩৫) নওগাঁ জেলার সদর থানার খিদিরপুর গ্রামের বাসের আলী মোল্লার ছেলে।অন্যদিকে হত্যার শিকার তানিয়া আক্তার (২৪) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার পৌরসভার মিরকা নগর (আধনগর) ৯ নম্বর ওয়ার্ড এর নুরুল হকের মেয়ে। তারা দুজন আশুলিয়ায় ভাড়া থেকে স্থানীয় এএনএস নামক তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরিরত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, নারী শ্রমিক তানিয়া আক্তার নিজের প্রথম স্বামী ও সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। একই কারখানায় কাজ করার সুবাদে সোহাগ মোল্লার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।একপর্যায়ে গত বছর তারা বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করছিলেন। সোহাগ মোল্লারও প্রথম স্ত্রী আছে, তানিয়া আক্তার তার দ্বিতীয় স্ত্রী। সম্প্রতি তানিয়া আক্তার গর্ভবতী হলে বিষয়টি নিয়ে সোহাগের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সোহাগ দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঝগড়া করেন।

এরপর গত ২৩ তারিখ রাত আটটার দিকে তানিয়াকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর এলাকায় নিয়ে যান সোহাগ। সেখানে গোল্ডস্টার নামক তৈরি পোশাক কারখানার পেছনে বাঁশঝাড়ের ভেতরে তানিয়া আক্তারের সঙ্গে সহবাস করার সময় গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তানিয়ার ওড়না গলায় পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে নগ্ন অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। 

পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিয়তের স্বামী সোহাগ মোল্লাকে শনিবার রাতে আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ মোল্লা ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় নিহত তানিয়ার বাবা নুরুল হক বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সাভার মডেল থানার এসআই আব্দুল ওহাব বলেন, ‘পোশাক শ্রমিক তানিয়া আক্তারকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী সোহাগ মোল্লাকে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’


Side banner
Link copied!