
পরিচয় টিকটকে, এরপর প্রেম। বিয়ে হয় আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে। এরপর শুরু হয় স্বপ্নের সংসার। তবে কল্পনায় আঁকা স্বপ্ন ভাঙতে সময় লাগেনি বেশি দিন।নববধূকে রেখেই পালিয়েছেন স্বামী। স্ত্রীর দাবি, নামাজে যাচ্ছি বলেই ঘর থেকে বের হন স্বামী। এরপর আর ফেরেননি।
ওই তরুণীর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া।স্বামীর সন্ধানে মৌলভীবাজার এসে অনশন শুরু করেন তরুণী। সোমবার (২১ এপ্রিল) স্বামীর সন্ধানে আসা ওই তরুণীকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামে অনশন করতে দেখা যায়।
জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাটারাই গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে ওয়াকিব আলীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। গত ৬ এপ্রিল চট্টগ্রামে কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।তরুণীর ভাষ্য, তিনি পরিবারের সঙ্গে চট্টগ্রামে বসবাস করেন। টিকটকে পরিচয়ের পর একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ এপ্রিল ওয়াকিব চট্টগ্রামে যান। ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম সদরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার পরিবারের সঙ্গেই অবস্থান করছিলেন ওয়াকিব।গত ১৫ এপ্রিল নামাজে যাচ্ছেন বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি ওয়াকিব। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ অবস্থায় সোমবার স্বামীর সন্ধানে কাটারাই গ্রামে চলে আসেন ওই তরুণী।
ওয়াকিবের বাবা আপ্তাব আলী জানান, ব্যবসার টাকা ছয়-নয় করে তার ছেলে গত ঈদের আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। বর্তমানে ছেলের অবস্থান সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
খলিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী জানান, স্বামীকে খুঁজতে আসা এক তরুণী তার বাড়িতে রয়েছেন। বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :