
চরছোনগাছায় সৎ মামা, মামী, মামাতো ভাই কর্তৃক ভাগ্নিকে মানসিক নির্যাতন চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিসহ মারপিট, শ্লীলতাহানি করায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে মামলায় করায় মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি, ধামকি সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে আসামীরা। মারপিট ও শ্লীলতাহানির বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-৯৬/২৪। মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেছে বিজ্ঞ আদালত। এদিকে মামলায় করায় ও মামলার বাদীর পরিবার ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য প্রদানে বাধাগ্রস্ত করতে স্বাক্ষীদের ভয়ভীতি সহ বাদীনি ও বাদীনির পিতাকে হুমকি ধামকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে আসামীপক্ষ। এবিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে বাদীপক্ষ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নে চরছোনগাছা গ্রামের মো: আব্দুল কুদ্দুস এর মেয়ে মোছা: চাঁদনী আক্তার (২৮) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে গোয়াল ঘরের পানি গড়ানো নিয়ে চরছোনগাছা গ্রামের মৃত রহিজ বেপারীর পুত্র মোনারুল ইসলাম মোন্নাফ (৩৮), আব্দুল মোমিন (৪০), সাইফুল ইসলাম এর পুত্র মো: আব্দুল মালেক (৪৪), আব্দুল মালেক এর পুত্র মো: শামীম (২৪) ও মোনারুল ইসলাম এর স্ত্রী মোছা: মরিয়ম খাতুন (৩৫), আব্দুল মোমিন এর স্ত্রী খাদিজা খাতুন (৩৪) জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। গত ৫ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে চাদনী খাতুনের বাড়িতে মিলাদ ও দোায়া মাহফিল চলছিল। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবদ্ধ হয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে বেধরক মারপিট করে। মারপিটে চাদনী আক্তারের ডান বাহুতে রক্তাক্ত বেদনাদায়ক জখম হয় ও শ্লীলতাহানি করে চলে যায়। এবিষয়ে চাদনী আক্তার গত ৮ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে মোকাম সদর থানা আমলী আদালতে, সিরাজগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় করার পর থেকে সকল আসামীগণ মামলা উঠে নেওয়ার জন্য এবং মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য প্রদান না করার জন্য বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মামলা উঠিয়ে না নিলে আসামীগণ চাদনী আক্তার সহ তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে জীবন শেষ করে এবং বাড়ি ঘর উচ্ছেদ করে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করার হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এবিষয়ে চাদনী আক্তার নিরুপায় হয়ে পুনরায় গত ২১ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। চাঁদনী আক্তারের মা আমিনা খাতুন জানান, আমার পুত্র সন্তান না থাকায় স্বামী ও আমার কন্যা সন্তানদের উপরে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে আসছে। আমার বাড়ির সামনে চলাচলের রাস্তায় গর্ত করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের নিচে খরের পালায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। এতে কিছু করেও কান্ত না হয়ে হাঁস চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় মামলা দায়ের করে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেছে। জমি সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দিলেও সে রায় না মেনে আমাদের পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে। বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পুর্বক সুব্যবস্থা করার জন্য উদ্বোতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :