• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

হবিগঞ্জে প্রবীন সাংবাদিক কে এক আইনজীবী চড়থাপ্পড় থানায় অভিযোগ


FavIcon
মোঃ রহমত আলী, হবিগঞ্জঃ
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
হবিগঞ্জে  প্রবীন সাংবাদিক কে এক আইনজীবী চড়থাপ্পড়  থানায় অভিযোগ

দৈনিক জনতা পত্রিকার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি প্রবীণ  সাংবাদিক শেখ এম এ জলিলকে প্রকাশ্যে চড় থাপ্পড় এবং  হত্যার করার  ভয় দেখিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির  অভিযোগ এনে আইনজীবী নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও তার সহকারী শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুমা আক্তারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (২০ এপ্রিল)  হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় উক্ত অভিযোগ দায়ের করা

তাছাড়া   নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুমা আক্তারের বিরুদ্ধে  অপকর্মের বিভিন্ন অভিযোগও  আনা হয়ছে। 

এ ঘটনায়  এম এ জলিল হবিগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নিকটও বিচারপ্রার্থী হয়েছেন।

এ দিকে সাংবাদিককে চড় মারা ও নিরব  স্হানে নিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল। 

চড় থাপ্পড় দেয়ার সিসি টিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয় হবিগঞ্জ জেলার সর্বত্র।

 অনেকেই আইনজীবী নুরুল ইসলাম চৌধুরীকে বদমেজাজি ও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর উল্লেখ করে তার শাস্তি দাবি জানিয়েছেন হবিগঞ্জ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক সমাজ। 

মামলা দায়ের পর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন আহমেদ জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা, গতকাল থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর আইনজীবীর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছে।  পুলিশ থাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবে বলে আশ্বস্ত করেন সাংবাদিকদের। 

উল্লেখ  মাসখানেক আগে রুমা আক্তার নামে এক শিক্ষানবীশ আইনজীবীকে গ্রাউন না পড়তে অনুরোধ করেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মনোয়ার আলীর চেম্বারে সাংবাদিক জলিল।
তখন মনোয়ার আলীর সাথে কাজ করতেন রুমা।

 সেই রুমা কিছুদিন ধরে এডভোকেট নুরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে কাজ শুরু করেন। 
সাংবাদিক জলিলের পূর্বের সেই কথা রুমা এডভোকেট নুরুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন নুরুল ইসলাম। 
গত ১৫ এপ্রিল সাংবাদিক জলিল জজ আদালতের উকিল লাইব্রেরীতে যান তখন তাকে দেখা মাত্র নিজের আসন থেকে উঠে এসে বেধরক চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন এডভোকেট নুরুল ইসলাম চৌধুরী।

 চড়থাপ্পড়  ও টানাহেঁচড়া করে অপমান করতে থাকলে আশপাশের লোকজন এসে এডভোকেট নুরুল ইসলাম চৌধুরীকে থামান।

এ দিকে এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে দেখা যায়, কোনো  কারণ ছাড়াই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন এডভোকেট নুরুল ইসলাম চৌধুরী। এঘটনায় হবিগঞ্জবাসীসহ সাংবাদিক মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। দ্রুত গ্রেফতার ও সনদ বাতিল দাবি করেছেন সাংবাদিকবৃন্দ

 এ বিষয়ে এডভোকেট নুরুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।


Side banner
Link copied!