
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নের বড়ধুনাইল গ্রামে সরকারি খাস জমি দখল ও দফা দফায় সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতার পদ স্থগিত ও যুবদল এবং ছাত্রদলের দুই নেতার পদ স্থগিতের জন্য জেলা যুবদল ও ছাত্রদলকে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়াও ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন- রুপবাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম সেখ।
অভিযুক্ত যুবদল ও ছাত্রদল নেতারা হলেন- রুপবাটি ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সেখ ও একই ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি ইনজাজাম সেখ।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইটকে আহ্বায়ক করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক নওশাদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহজাদপুর উপজেলার রুপবাটি ইউনিয়নে প্রতি বছর সরকারি জমি দখল নিয়ে মারামারি হয়ে থাকে। এবারও সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।এ অবস্থায় এসব ঘটনায় জড়িত থাকায় প্রাথমিকভাবে দুই বিএনপি নেতার পদ স্থগিত এবং যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতার পদ স্থগিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বড়ধুনাইল গ্রামে ১৫০ বিঘা সরকারি খাসজমি দখলে নেওয়াকে কেন্দ্র জাফর গ্রুপ ও রাজ্জাক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার ও রবিবার দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে রাজ্জাক গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষ জাফর গ্রুপের লোকজনের অন্তত ১০টি বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ উঠেছে।এতে বাধা দিতে গেলে মারধরে জাফর গ্রুপের মদিন মোল্লাকে নিজবাড়ির সামনে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনায় এ গ্রুপের আরো অন্তত ২০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সবাই যুবদল নেতা রাজ্জাক গ্রুপের সমর্থক।
আপনার মতামত লিখুন :