• ঢাকা
  • রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেন রুয়েট কর্মকর্তা


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম
চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেন রুয়েট কর্মকর্তা

চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের মালোপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মানিকুজ্জামান মানিক। তিনি রুয়েটের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব)। এই মামলার আরেক আসামি রাজশাহীর হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মুন, তিনি মানিকুজ্জামানের বড় ভাই। তাকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি নগরের রাণীনগর সাধুর মোড় এলাকার তামান্না ইয়াসমিন নামের এক নারী মানিক ও তার ভাই মুনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। রুয়েটে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসে তাদের তামান্না ইয়াসমিন ২০২২ সালের ৯ মার্চ ৪ লাখ ও ১৬ মার্চ ১ লাখ টাকা দেন। এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তারা চাকরি দিতে পারেননি। টাকাও ফেরত দেননি। তাই ভুক্তভোগী ওই নারী মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে মানিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মানিকুজ্জামান মানিকের বিরুদ্ধে শুধু চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা নয়, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এবং জমির বায়না নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। এসব অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভোগীরা গত ১৬ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাহাবুবুর রহমান সঞ্জু, শাহি, নওবাহার খাতুন, তামান্না ইয়াসমিন, আশরাফ উজ জামান ও মামুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, তাদের কাছ থেকে এই দুই ভাই মোট ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে, অভিযুক্ত দুই ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং পাওনাদারদের হুমকি দিতে থাকেন। পরে গত ২৮ মার্চ ভুক্তভোগী তামান্না ইয়াসমিন মামলা করেন।

মানিকুজ্জামান মানিককে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে আরও দুই ভুক্তভোগী থানায় গিয়ে হাজির হন। এ সময় রানীনগর পানির ট্যাংক এলাকার সালমা কবির নামের এক নারী অভিযোগ করেন, তার মেয়ে ফাহমিদা আক্তার রিমিকে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৪ বছর আগে মানিক ও তার ভাই মুন ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

আরেক ভুক্তভোগী জেসমিন আরা দাবি করেন, তার স্বামী সুইটকে রুয়েটে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন মানিক ও তার ভাই মুন। এ দুই ভুক্তভোগী বোয়ালিয়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান বলেন, মানিককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আরও যেসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Side banner
Link copied!