
হতদরিদ্র ইজ্জত আলীর জায়গার উপর নতুন ঘর নির্মাণ করতে না দেয়ায় প্রভাবশালী গিয়াশ উদ্দীন ও তার লোকেরা। প্রতিবেশির বসত ঘরটি দুমড়ে মুচড়ে গুড়িয়ে দিয়েছেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের দালান হাটি মহল্লায় ঘটনাটি ঘটে।
ভাংচুরকারীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে গিয়াশ উদ্দীনের ও তার লোকজন ইজ্জত আলীর পরিবারে উপর চড়াও হয়।
ক্ষীপ্ত হয়ে বেধড়ক ভাবে মারপিট ও লোটপাট তান্ডব শুরু করে দেয় তারা
এ সময় তাদের শুর চিৎকার শুরু করলে সাবেক মেম্বার মোঃ বাবুর আলী, মুরুব্বি মোঃ আব্দুল মন্নাফ, মোঃ তৈয়ব আলী সহ স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে গিয়াশ উদ্দীনের লোকজনকে দমন করেন।
আহতবস্থায় মোঃ বাচ্চু মিয়া (৩২), রুমি বেগম (২৮), আফজল মিয়া কে উদ্ধার করে চিকিৎসার দিতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যান।
সরজমিনে দেখা যায় নিম্ন মানের টিন দ্বারা নির্মিত পুরাতন বসত ঘরটি দুমরে মুচড়ে মাটিতে ধ্বসে যায় ফলে ইজ্জত আলীর পরিবার নিয়ে ভিটায় বসবাস করা এখন অনুপযোগী হয়ে পরেছে।
দরিদ্রতার তাড়নায় গৃহটি মেরামত করার আর্থীক সামর্থটুকুুও নেই বলে ইজ্জত আলী হতাশ হয়ে পরেছেন।
এ ঘটনায় ইজ্জত আলীর পুত্র মোঃ বাচ্চু মিয়া বাদি হয়ে আজগর আলীর পুত্র
গিয়াশ উদ্দীন সহ ৪ জনের নামে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেনে।
অভিযোগে জানাযায় বাচ্চু মিয়া তার পৈত্রিক ভিটা ২ শতক জায়গায় কোনো রকম টিন বাঁশ দিয়ে ঘর বানিয়ে বসবাস করছেন।
প্রতিবেশি গিয়াশ উদ্দীন বাচ্চু মিয়ার পরিবারকে উচ্ছেদ করে তার পৈত্রিক ২ শতক বসত ভিটা দখল করতে দির্ঘ দিন ধরে পায়তারা চালিয়ে আসছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা গিয়াশ উদ্দীন শ্রমিক নিয়ে বাচ্চু মিয়ার জায়গার উপর টিন সেট ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে দেয় এতে তারা বাঁধা দিলে
গিয়াশ উদ্দীন ও জুমন মিয়া সহ কয়েক জন বাচ্চু মিয় ও তার স্ত্রী রুমি বেগমকে এলোপাতারি ভাবে মারপিট শুরু করে এবং বাচ্চু মিয়ার ঘরে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা ও জিনিষপত্র লুট করে নিয়ে যায়।
বিকেলে থানার এস আই ওয়াহেদ গাজীসহ একদল পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শণ করেন। এবং অভিযোগ মিমাংশা না হয়া পর্যন্ত নতুন ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখাতে গিয়াশ উদ্দীনকে নির্দেশ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :