
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পরপর দুবার ভিক্ষা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক ভিক্ষুকের কান কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মো. সোহেল রানা (২৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বগারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আটক সোহেল রানা উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের বগারপাড় গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি এলাকায় কৃষিকাজ করেন। তাঁকে বর্তমানে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আহত আবদুস সাত্তার (৫৫) উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের বাসিন্দা। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে আবদুল সাত্তার প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে ভিক্ষা করতে বের হন। তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরতে ঘুরতে পোগলদিঘা ইউনিয়নের বগারপাড় গ্রামে ভিক্ষা করতে যান। পরে সোহেল রানার বাড়িতে ঢুকে তাঁর কাছে ভিক্ষা চান। তখন সোহেল ভিক্ষা নেই বলে জানান। এরপর আবার ভিক্ষা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল তাঁর বাঁ কান কেটে দেন। ভিক্ষুকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, কানে আঘাত পাওয়ার জন্য এক ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির কানে সেলাই লাগবে। এ জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চাঁদ মিয়া বলেন, ওই ভিক্ষুক আটক যুবকের কাছে পরপর দুবার ভিক্ষা চেয়েছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবক ভিক্ষুকের কান কেটে দেন। ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :