• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

শায়েস্তাগঞ্জে জোরপূর্বক ঘর ও রাস্তায় বাউন্ডারি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি


FavIcon
মোঃ রহমত আলী, হবিগঞ্জঃ
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১১:৩৪ পিএম
শায়েস্তাগঞ্জে জোরপূর্বক ঘর ও রাস্তায় বাউন্ডারি দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি

হবিগঞ্জে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নে হামুয়া চর এলাকায় বিক্রয় করা জমিতে রাতের আধারে জোরপূর্বক ভাবে  টিনের ঘর ও রাস্তায় পাকা বাউন্ডারি নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে জমি বিক্রয়দাতা মোঃ জামাল মিয়ার (৪২) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে । 

২০২৪ সালে ১৯ নভেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা ও থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন  শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পৌর সভা দক্ষিণ লেঞ্জাপাড়া গ্রামের মৃত হাজী জহুর আলী ছেলে মোঃ ফারুক আহাম্মদ (৬৩) । 
কিন্তু  অভিযোগের তিন মাস গত হলে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত ২০২৩ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অন্তর ভুক্ত হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হামুয়া চর - ১২৫ মৌজায় ৩১৩৯ আরএস রেকর্ড ভুক্ত দাগের চারা জমি মোট ৭ শতাংশ ভূমি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে কলিমনগর গ্রামের মৃত মোঃ নিম্বর আলী ছেলে মোঃ জামাল মিয়ার নিজ চারা জমি সীমানা নির্ধারণ করে তাঁর স্বাক্ষরকৃত সাব কবালা হবিগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে বিক্রি করে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পৌরশহরে লেঞ্জাপাড়া গ্রামের মোঃ জহুর আলী ছেলে মোঃ ফারুক আহাম্মদ এর কাছে । যার দলিল নং - ১১৮৩ /২৩ ইং।

সদর উপজেলা গোপায়া ইউনিয়নে ভূমি অফিসে নাম জারী জন্য মামলা করে এবং নাম জারী হওয়ার পর সমস্ত সরকারি ভূমিকর পরিশোধ করে চারা জমিতে দীর্ঘ দিন ভোগদখল করে আসছে । ফারুক আহাম্মদ  ক্রয়কৃত জমিতে অনেক টাকা খরচ করে মাটি ভরাট সহ অনেক ঔষধি গাছ , ফলের গাছ ও কাঠের গাছ রোপণ করে রাখা হয়েছে । এদিকে সুযোগে চারা জমি বিক্রয়দাতা মোঃ জামাল মিয়া সহ পরিবারের লোকজনকে নিয়ে গত ২০২৪ সালে ২৪ ডিসেম্বর ভোর রাতে বিভিন্ন প্রজাতি গাছ কর্তন করে ঢেউটিন দিয়ে সাপটা ঘর তৈরি ও রাস্তা সীমানা নিয়ে পাকা বাউন্ডারি নির্মাণ করে   । 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ-সব দৃশ্য দেখেন ফারুক । পরে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান , ওয়ার্ড মেম্বার ও বিশিষ্ট মুরুব্বিদের অবগত করেন।

মুরুব্বিদের জানানো পর তাদের কথা গুলো তোয়াক্কা করে বিভিন্ন অকথ্য  ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে  জামাল মিয়া সহ তার পরিবারের লোকজন। 

ব্যর্থ হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন , হবিগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা ও শায়েস্তাগঞ্জ  থানা পুলিশ প্রশাসনের কাছে সু-বিচারের জন্য আবেন জানায় ফারক।
এতে কোনো ব্যবস্থা নস হয়ায় ফারুক আহাম্মদ বাদী হয়ে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চরহামুয়া মৌজায় ৩১৩৯ আর এস দাগের উপর ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করেন । উক্ত ১৪৪ ধারা মামলাটি বাদী পক্ষ জমি গ্রহীতা ফারুক আহাম্মদকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা জন্য এবং সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানো বিজ্ঞ আদালত থেকে  নির্দেশ পাঠানো হয় । শায়েস্তাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলীপ কান্ত নাথ জানান , অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু সরজমিনে গিয়ে উক্ত বাদী ক্রয়কৃত জমি আলামত  তদন্ত করে উভয় পক্ষের কাগজ পত্র যাচাই বাছাই পর আইন গত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।


Side banner
Link copied!