• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১

শহরতলীর গোপায়া নুরানি জামে মসজিদ বাজার ফান্ডের ১ কোটি টাকা আত্যাসাতর অভিযোগ


FavIcon
মোঃ রহমত আলী, হবিগঞ্জঃ
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম
শহরতলীর গোপায়া নুরানি জামে মসজিদ বাজার ফান্ডের  ১ কোটি টাকা আত্যাসাতর অভিযোগ

হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া নুরানি জামে মসজিদ বাজার ফান্ডের প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

আত্মসাত করেন নুরানি জামে মসজিদ বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক রাঙ্গার গাও গ্রামের হোসাইন মোঃ আক্তার (৫০), একই গ্রামের ক্যশিয়ার মোঃ আব্দুল মজিদ ওরফে মতি মিয়া (৪০) ও সদস্য গোপায়া গ্রামের মোঃ মোঃ জহুর আলী।

 

তারা ১৮ বছর ধরে নুরানি জামে মসজিদ বাজার কমিটিতে স্বপদে বহাল থেকে ১ কোটি টাকা আত্মসত করেছেন বলে অভিযেগ তুলেন কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোতাকাব্বির তালুকদার।

 

এ বিষয়ে যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগটি তদন্তাধিন রয়েছে।

অভিযোগে জানাযায় সাধারন সম্পাদক হোসাইন মোঃ আক্তার, ক্যশিয়ার মোঃ আব্দুল মজিদ ওরফে মতি মিয়া ও সদস্য মোঃ জহুর আলী ১৮ বছর যাবৎ একই পদে বহাল থেকে নুরানী জাম মসজিদ বাজার ফান্ডের ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করছেন। 

 

প্রতি বছর কমিটির আয় হয় ১২ হাজার ৫শ টাকা সে হিসেবে ২০২৩ ও ২০২৪ সালের দুই বছরে বাজার কমিটির আয় ২৫ লাখ টাকা।

মসজিদের ছাদ নির্মাণসহ অনান্য খাতে করচ করেন তারা ১৫ লাখ টাকা।

আর অবশিষ্ট ১০ লাখ টাকা তারা আত্মসাত করেছেন।

মোতাকাব্বির তালুকদারের তাগিদে উক্ত বিষয় নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টায় নুরানী জামে মসজিদ বাজার কমিটির কর্যালয়ে আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে কমিটির এক বৈঠক অনুষ্টিত হয়।

বৈঠকে সাধারন সম্পাদক হোসাইন মোঃ আক্তার বিগত দুই বছরের ব্যয়ের হিসাব লিখিতভাবে দেখান যে ২০২৩ সালের মে মাসের ৫ তারিখ থেকে ২২ তারখের মধ্যে বিভিন্ন খাতে খরচ করেছেন দরকাস্ত বাবদ ১৫০ টাকা, উপজেলা অফিসে ৪৩০০ টাকা, সদর থানায় ১০ হাজার টাকা, এসিক্যন্ড অফিসে ৩ হাজার টাকা, ডিসি অফিসে ২৭০০ টাকা, উপজেলা ফান্ডে জমা ৭৫ হাজার টাকা, বাজার ডাক বাবদ ১৬০ টাকা, গরুর বাজারে স্বাস্থ্য টিমে ২ হাজার টাকা ও ব্যানার ও গেইটে ২৫০০ মোট ৯৯ হাজার ৮১০ টাকা।

২০২৪ সালের ব্যয় ধরা হয়ছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩ শ ৪০ টাকা। খরচের খাত হলো মে মাসের ৬ তারিখ থেকে ১৪ তারিখের মধ্যে খরচ হয়েছে মাঠ পরিদর্শন ২ হাজার টাকা, ডিসি অফিস ৩ হাজার টাকা, রিসিট বই ৩ হাজার ৫শ টাকা, থানায় খাসি বাবদ ১৪ হাজার ৫ শ টাকা, তিন দিন গরুর বাজার বাবদ ৩ হাজার ৭শ ৪০ টাকা, মাঠ ড্যাসিং ৪ হাজার ৫শ টাকা, ব্যানার ও গেইট ২ হাজরার ১ শ টাকা ও উপজেলায় খরচ ৮০ হাজার টাকা।


Side banner
Link copied!