ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের একটি মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে আসা মো. সানাউল্লাহ (১০) নামের এক শিক্ষার্থীকে সিলেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক পোষ্ট করে শিক্ষার্থীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার সকালে সানাউল্লাহর বাবা এসে সিলেট থেকে তাঁর ছেলেকে নিয়ে গেছেন।শিক্ষার্থী সানাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গুনিয়াউকের চিতনা উত্তর এলাকার বাসিন্দা মো. সফরউদ্দিনের
ছেলে। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার শ্রীঘর উত্তরগ্রাম নূরে মদিনা হাফিজিয়া ফুরখানিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে।
সিলেট বসুন্ধরা মটরসে কর্মরত ও সন্ধানদাঁতা বোরহান আহমদ মাহিন বলেন, আমার আব্বা সিলেট কদমতলী বাস ষ্ট্যান্ডের সভাপতি। তিনি লক্ষ্য করেন শিশু সানাউল্লাহকে কতিপয় নেশাখুররা টার্গেট করে তার পিছু নিয়েছে। পরে তিনি সানাউল্লাহকে নিজের বাসায় নিয়ে আসেন।
সন্ধানদাঁতা মাহিন বলেন,মঙ্গলবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসে চেপে সিলেট চলে আসে এবং কদমতলী বাসষ্ট্যান্ডে নামে।তার কাছে অল্প কিছু টাকা ছিলো। টাকা কেড়ে নিতে চায় কিছু বখাটে যুবক।এ সময় খুব ভয় পায় সানাউল্লাহ।তাকে বিমর্ষ মনে হয়েছে। বিষয়টি লক্ষ্য করে তাকে উদ্ধার করা হয়, এক পর্যায়ে কথা বলতে বলতে শিশুটি মাদ্রাসায় পড়তে চায়না বলে জানায় ও পালিয়ে আসার কথা স্বীকার করে।
মাহিন আরও বলেন, সানাউল্লাহর কাছ থেকে তার বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর সদরের রনি নামের এক হিন্দু বন্ধুর সহায়তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পিতা মাতার পরিচয় জানতে চেয়ে পোষ্ট করা হয়।
পরে সানা উল্লাহর মা–বাবার সন্ধান পাওয়া যায়। গতকাল বুধবার সকালের দিকে শিশুটির বাবা সফর উদ্দিন সিলেটে আসেন এবং সকাল দশটার দিকে ছেলেকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দিকে রওনা হন তার বাবা।
আপনার মতামত লিখুন :