শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার নশাসন ইউনিয়নের ঢালীকান্দি এলাকায় পিতা-পুত্রদের মাঝে দ্বন্দ্ব বাজিয়ে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে এমন অভিযোগ করেন ওই পরিবারের মেজো ছেলে ঈমান হোসেন বেপারী।তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,আমি ১৬ বছর বিদেশ করেছি,আমার বড় ভাই ২৫ বছর বিদেশ করেছে বর্তমানে ছোট ভাই হাসান ও বড় ভাই ইতালিতে আছে।আমার বাপের নিজেরও সম্পত্তি আছে।আমার মা তার বাপের বাড়ির ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির একোয়ার থেকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা পেয়েছে। বর্তমানে মার একাউন্টে ৮০ থেকে ৯০ লক্ষ টাক আছে।আমাদের তিন ভাইয়ের বিদেশি টাকা দিয়ে বাবার নামে অনেক সম্পত্তি করেছে। পরিবারের শান্তির জন্য বাড়ি থেকে নেমে আমরা দুই ভাই আলাদা জায়গায় বাড়ি করে থাকি।অর্থ আর সম্পত্তিতে আমরা সমাজে ভালো অবস্থানে আছি।ভালো অবস্থানে থাকাতেই আমাদের পরিবারের উপর শকুনির থাবা পড়েছে।বাপ- চাচা এবং আমাদের বাপ ছেলেদের মাঝে ফাটল ধরার সব সময় চেষ্টা চালাচ্ছে অসাধু দুষ্টু প্রকৃতির লোক।পূর্ব শত্রুতার জেরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নড়িয়া উপজেলার শ্রমিক দলের ৮ নং যুগ্ন আহ্বায়ক সিরাজ বেপারী আমাদের পরিবারের ভিতর ঢুকে বাপ-পুত্রদের মাঝে দ্বন্দ্ব বাজিয়ে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আনিস উদ্দিন ব্যাপারীর স্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন,নশাসন রাস্তার পারে আমার নামে সাতকরা এবং আমার স্বামীর নামে ১৪ করা মোট ২১ করার উপর নিয়ত করছি কবরস্থান করুম।আমার দেবরদের ইন্দনে কবরস্থান করতে বাধা দেয় আমার ছেলেরা।কবরস্থান কে কেন্দ্র করে বাড়ি ঘাটায় আমার স্বামীর সাথে দেবর এমদাদুল হক ব্যাপারী ঝগড়া করে।ঝগড়ার এক পর্যায়ে এমদাদুল হক ব্যাপারী হত্যার উদ্দেশ্যে সেনদা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়।ছেলে ঈমান হোসেন তখন সামনে ছিল।এতে ওর বাবাকে বাঁচাইতে আসে নাই এবং ওর চাচাকে বাধাও দেয় নাই। বর্তমানে আমার স্বামী শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। মাথায় চারটা সেলাই লাগছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমার দরকার নাই।এই সন্তান আমি পেটে ধরি নাই।এই কুলাঙ্গার সন্তানের শাস্তি চাই।শ্রমিক দলের নেতা সিরাজ বেপারী গণমাধ্যমকে বলেন,রক্তাক্ত অবস্থায় আনিস উদ্দিন বেপারীকে লোকজন নিয়ে ধরাধরি করে ডগ্রির দেওয়ান ক্লিনিকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই।আমার অপরাধ কেন আনিসুদ্দিন বেপারীর পাশে দাঁড়ালাম।এই অপরাধে ইমান হোসেন বেপারী আমাকে মারধর করে।আমাকে মারধর করার বিষয়টি মজিবর মেম্বারকে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে মজিবর মেম্বার ছেলেদেরকে হুকুম দেয় ঈমান হোসেন বেপারীকে যেখানেই পাবি সেখানেই মারবি।সরজমিনে গেলে ইমান হোসেনের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,আমার চাচা শ্বশুরের ক্ষেতের ভুট্টা গাছ আমার শ্বশুরের গরুতে খাইছে।ভুট্টা গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়।আব্দুল হক ব্যাপারী দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাইতে গিয়ে আব্দুল হক বেপারীকে সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে এক নম্বর হুকুমের আসামি দিয়েছে।আমার শাশুড়ি এ বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছে। আমার শশুরকে মারার ঘটনা কে কেন্দ্র করে সিরাজ ব্যাপারীর ছেলে জুবায়েরসহ ১০ থেকে ১২ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র রামদা সেনদা, লাঠি সোটা নিয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিতভাবে বাড়িতে প্রবেশ করে।আমার স্বামীকে ঐ মুহূর্তে না পেয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রান্নাশের হুমকি দেয়।আমি ভয়ে ঘরের দরজা আটকিয়ে চিৎকার করতে থাকি।তারা আমার স্বামীকে না পেয়ে ভাড়া দেওয়া ঘরের টিনের বেড়া সন্ত্রাসী কায়দায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।এমনকি বাড়ির ঘাটার টিনের বেড়াটিকে এলো পাথারি ভাবে পিটিয়ে কুপিয়ে একেবারে ধংস করে।সরজমিনই আপনারা দেখতে পারছেন।এতকিছু করার পরও আমার বড় ননদ নাসিমা বেগম বাদী হয়ে আদালতে আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :