• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১

উল্লাপাড়ায় সেচ প্রকল্পের চলমান বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ


FavIcon
জহুরুল ইসলাম:
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ০৮:০৬ পিএম
উল্লাপাড়ায় সেচ প্রকল্পের চলমান বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ

২৫ বিঘা ফসলের জমিতে সেচ প্রকল্পের চলমান বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ 
উল্লাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ বিএডিসি অফিসের বিরুদ্ধে। চলতি ইরি মৌসুমে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার 
হাটিকুমরুল ইউনিয়নের পাটধারী গ্রামের মৃত বদিউজ্জামান মন্ডলের ছেলে কৃষক রশিদুল ইসলাম ২০২২ ইং সালে ২৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো মৌসুমে সেচ প্রদানের জন্য বিএডিসি অফিস থেকে  গভীর নলকূপের লাইসেন্স প্রাপ্ত হন। সেই অনুযায়ী উল্লাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ বিধি মোতাবেক সংযোগ প্রদান করেন । একই এলাকার মৃত জাবের রহমানের ছেলে সাজেদুল ইসলাম ষড়যন্ত্র  করে  সেচ প্রকল্প বন্ধ করতে উল্লাপাড়া নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাজেদুল ইসলাম এবং একই স্থানে প্রায় ১ শ' ফুট দুরত্বে রশিদুল ইসলামের জায়গার উপর বিদ্যুৎ এর খুটি স্থাপন করেন সেচ প্রকল্প চালু করার জন্য। 
রশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত শুরু করেন উল্লাপাড়া বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী ও সেচ কমিটি। তদন্ত শেষে  রশিদুল ইসলাম এর সেচ প্রকল্প ও বিদ্যুৎ সংযোগ বৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ফসলের জমিতে সেচ প্রকল্প চলাবস্থায় গত ৫ জানুয়ারী বিএডিসি কর্মকর্তা শাহী আমিন ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের মিজানুর রহমান হঠাৎ বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। এতে চলতি ইরি মৌসুমে চাষাবাদের চরম বিপর্যয় পরেছে ২৫ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো চাষের কতিপয় কৃষক ও সেচ প্রকল্পের লাইসেন্সধারী রশিদুল ইসলাম।

এ বিষয়ে সেচের অধিনে থাকা কৃষক মিজানুর রহমান জানান, এই সেচের অধিনে ৪০ শতক জমিতে ধান চাষ করে পরিবারের আহার জোগাতে হয়।
এ ব্যাপারে কৃষক রনজু বলেন - ২ বছর যাবত সেচ প্রকল্পে ৩ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে বার মাসের আহার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও অন্যান্য খরচ করে সংসার চালাই। সেচ বন্ধ হলে না খেয়ে থাকতে হবে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা তবে বিএডিসি অফিসের নির্দেশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হতে পারে।
উল্লাপাড়া নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পুর্বক সংযোগ দিয়ে কৃষকের একমাত্র উপার্জনক্ষম সেচ প্রকল্প চালুর দাবী করেছেন স্থানীয়রা।


Side banner
Link copied!