চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর বাজারের , মীম জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১০ দিনের ব্যাবধানে দফায় দফায় (২ বার) সীলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত ।
জানাযায় মীম জেনারেল হাসপাতালটি গত ৯ ডিসেম্বর প্রথম দফায় সীলগালা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং গত ১৯ ডিসেম্বর আবারও দ্বিতিয় দফায় সীলগালা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । প্রথমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা এবং দ্বিতীয় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভূমি জাবেদ হোসেন চৌধুরী ।
সীলগালা অবস্থায় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ১৮ ডিসেম্বর বেলা ১১ টার সময় ওই হাসপাতালে ভূয়া ডাক্টার দিয়ে কাজিয়ারা গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রীর হাজেরা বেগম (৩০) কে সিজার অপরেশন করানো হয় । অভিযানের সময় কোন ডাক্টার এই সিজার অপরেশন করেছে জানা যায়নি এমনকি রোগীকে কোন ব্যাবস্থা পত্র দেওয়া হয়নি । হাসপাতালে কোন ডাক্টার বা নার্স না থাকায় ওই হাসপাতাল সিলগালাও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গত (৯ ডিসেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিব উল্লাহ সৌরভ। তখন তিনি বলেন মীম জেনারেল হাসাপতালের কাগজপত্র নবায়ন না থাকায় সীলগালা এবং মালিক মো. জসিম উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে ওই হাসপাতালে কোন চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে সিজারিয়ান রোগী থাকার কারনে একদিন পর এই হাসপাতালটিকে সীলগালা করার কথা ছিল। কিন্তুু কি কারনে ওই হাসপাতালটি পরবর্তিতে সীলগালা করা হয়নি এ নিয়ে জনমনে রয়েছে নানান প্রশ্ন ?
পরবর্তিতে ১৯ ডিসেম্বর আবারও ওই হাসপাতালে সিজার করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কারা হয়। এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও সীলগালা করা হয় ।
এলাকার একাধিক ব্যাক্তিরা জানান গত ৯ ডিসেম্বর ওই হাসপাতালে যদি সীলগালা করা হতো তাহলে আজকের এই ঘটনা ঘটতো না । এর জন্য প্রশাসনও দায়ী। আমি বলবো তাদেরও অবহেলা রয়েছে। আগামীতে যেন এমন ঘটনা না ঘটে এবং নারাশনপুরে ভূয়া ডাক্তাররা কিভাবে হাসপাতালে ডিউটি করে তা খাতিয়ে দেখতে সংশিষ্ঠ কতৃপক্ষের দৃষ্ঠি কামনা করেন। তারা আরো বলেন নারায়নপুরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভূয়া ডাক্টার দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে প্রায় সময় তাদের অবহেলাশ শিশু ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ।
মতলব দক্ষিন উপজেলা স্ব্যাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মোশারফ হোসেন বলেব কোন ডাক্টার সিজার অপরেশান করেছে এবং কোন ব্যাবস্থা পত্র পাওয়া যায়নি ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্ব্যাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহ মোঃ মহিবুল্লাহ সৌরভ বলেন আগের অভিযানে ওই হাসপাতালে রোগী থাকার কারনে সীলগালা করা হয়নি । আজ আবার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সীলগালা করা হয়েছে ।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা সহকারী কমিশনার জাবেদ হোসেন চৌধুরী বলেন সিলগালা অবস্থায় পুনরায় সিজার অপরেশন করায় অপরাধে এই হাসপাতালকে সীলগালা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । অভিযানের সময় হাসপাতালে কোন ডাক্টার ও নার্স পাওয়া যায়নি। আমাদের অভিযান অব্যাহেত থাকবে ।
আপনার মতামত লিখুন :