শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে রক্তাক্ত কাটা আঘাতের প্রতিশোধ স্বরূপ খান বাড়ির লোকজন প্রতিপক্ষ ঢালী বাড়িতে ঢুকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিট সহ হামলা ভাঙচুর ও লুট পাট চালিয়ে অর্থসহ স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
গত ৬ ডিসেম্বর(শুক্রবার) সন্ধ্যার দিকে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে ঢালী বাড়ির লোকজন জনতাবদ্ধে খান বাড়িতে ঢুকে নারীসহ সাতজনকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর রক্তাক্ত জখমের কারণে খান বাড়ির লোকজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সহ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে এ বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।সরজমিন ঘুরে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবারের সন্ধ্যার মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে খান বাড়ির লোকজন ১০ থেকে ১২ জন ও অজ্ঞাতনামা আর ১০ থেকে ১৫ জন ঐদিন রাতেই একটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত প্রতিশোধস্বরূপ প্রতিপক্ষ ঢালী বাড়ির ৯টি বসতবাড়িতে মারপিট সহ হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে চুন্নু ঢালীর স্ত্রী নুরজাহান বেগম(৪৩) বাদী হয়ে পালং থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী নুরজাহান বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, খান বাড়ির লোকজনের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ থাকায় উক্ত বিরোধের জের ধরিয়া খান বাড়ির সালাম খান,কালাম খান,সেলিম খান,ইমান হোসেন খান,শওকত খান,মোতালেব হাওলাদার, সালাম হাওলাদার, লিটন হাওলাদার,সিতু হাওলাদার,আকবর হাওলাদার,আবু আলম খান,বাসার খান, রহমান খান সহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা,ধারালো সেনদা, রড,লোহার হাতুড়ি,লোহার শাবল,হকিস্টিক,বাঁশের লাঠি,কাঠের লাঠি,দেশীয় মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়া সালাম খানের হুকুমে আমার ভাসুর বাদশা ঢালীর বসতবাড়িতে অতর্কিতভাবে ঢুকে ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুর নগদ অর্থসহ স্বর্ণ অলংকার লুট করে।বাদশা ঢালীর মেয়ে তিন মাসের গর্ভবতী শারমিন আক্তার আগাইয়া আসিলে তাকেও মারধর করে।নুরজাহান বেগম আরো বলেন ঐদিন রাতেই একটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত আমাগো বাড়িসহ মিরাজ ঢালী,কাশেম ঢালী,রতন ঢালী,হাবুল ঢালী,জহুর উদ্দীন ঢালী,মুলফু ঢালী ও মোতালেব ঢালীসহ মোট ৯টি বাড়িতে ডাকাতি কায়দায় ঢুকে ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ নগদ টাকাসহ মূল্যবান স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।খান বাড়ির লোকজনেরা হামলা ভাঙচুর লুটপাট করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা আমাকে আমার ছেলেসহ বৃদ্ধ বয়স্ক নারীদেরকেও ভীষণভাবে মারধর করে রক্তাক্ত কাটা জখম করে।আমি এই হামলা ভাঙচুর লুটপাটকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন,চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নুরজাহান বেগম নামে এক নারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :